গ্ল্যামার কুইনদের যৌবন বার্ধক্য

তপন মল্লিক চৌধুরী

পৃথিবীতে কোনো কিছুই চিরস্থায়ী নয় । কথাটা মানুষের ক্ষেত্রেই বেশিরকম সত্যি । মানুষের আজকের রূপ, যৌবন, ধন সম্পত্তি সবই আগামীকাল সময়ের গর্ভে বিলীন হয়েযাবে-একথা সবাই খুব ভাল করেই জানে । তবুও মানুষ সেসব ভুলে বর্তমানকে আকড়ে ধরে বাঁচে । কারণ বর্তমানই মানুষের কাছে সবথেকে বড় সত্য । বর্তমানকে এড়িয়ে চলা মানুষের পক্ষে কিছুতেই সম্ভব নয় । সময়ের স্রোতের বিপরীতে চলার ক্ষমতাও মানুষের নেই । তাই সে তার আজকের যা কিছু তাকে বাচিয়ে রাখতে চায় । বিশেষ করে তার যৌবন এবং রূপ । গত শতকের মধ্য ও শেষভাগে রূপোলি পর্দার যেসব রূপোসি ও যৌবনঊচ্ছল নায়িকা বা অভিনেত্রীরা তাদের রূপ লাবন্যের পরশ বুলিয়ে দর্শকদের মোহিতকরে রেখেছিলেন আজ তাদের অনেকের কথাই আর তেমন করে মনে পরে না । এভাবে হারিয়ে যাওয়ার অনেক আগেই তাঁরা হারিয়েছিলেন তাদের রূপ যৌবন । দেখে নিন, গতশতকের মোহিনী তারকাদের বর্তমান রূপ ।

প্রথমে বলি বেটি হোয়াইট-এর কথা । মার্কিন এই অভিনেত্রী বিগত শতাব্দীর চারের দশক থেকে বিনোদন জগতে বিচরণ করেছেন সদর্পে । এমি এবং গ্র্যামি এওয়ার্ড পাওয়াএই অভিনেত্রীর বয়স এখন ৯৫ বছর ।

আগে

এখন

এরপরই আসে সোফিয়া লরেন-এর কথা । গত শতকের তিরিশ দশকের মাঝামাঝি সময় জন্ম নেওয়া ইতালির এই অভিনেত্রী এক সময় জনপ্রিয়তার শিখরে আরোহণ করতেন ।সিনেমার জগতে তিনি পা রেখেছিলেন পঞ্চাশের দশকে । গ্লামার বিশ্বে এই অভিনেত্রীকে ইতালির মেরিলিন মনরো বলেও ডাকা হতো । তিনিই প্রথম অভিনেত্রী যিনি ইংরেজিভাষার কোনো ছবিতে অভিনয় না করেও যিনি জয় করেছিলেন একাডেমি পুরস্কার । পরে অবশ্য হলিউডের একাধিক ছবিতে অভিনয় করেন তিনি ।

আগে

এখন

 

জুডি ডেনচকে এখন অনেকেই জনপ্রিয় জেমস বন্ড সিরিজের ব্রিটিশ গুপ্তচর সংস্থার প্রধান ‘ম্যাডাম এম’ নামেই চেনেন । তবে যৌবনে তার পরিচিতি ছিল আবেদনময়ীঅভিনেত্রী হিসেবেই । মঞ্চ থেকে উঠে আসা ইংরেজ এই অভিনেত্রী বিবিসি’সহ ছোট পর্দাতেও দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন । পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালে জেমস বন্ডসিরিজের লাইসেন্স টু কিল ছবিতে দেখা যায় তাঁকে । এরপর বন্ড সিরিজে ০০৭ এর বস হিসেবে নিয়মিতই দেখা গেছে এই অভিনেত্রীকে ।

আগে

এখন

হলিউডে হ্যারি পটারের উপন্যাস থেকে নির্মিত সিরিজে প্রফেসর চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অনেকেই ম্যাগি স্মিথকে খুব ভাল করেই চেনেন । কিন্তু বয়সকালে তাঁকে এমন রূপেদেখা গেলেও যৌবনে যথেষ্ঠ রূপবতী ছিলেন ইংরেজ অভিনেত্রী ম্যাগি স্মিথ । নাম ভূমিকায় অভিনয় করা তাঁর সেরা ছবির মধ্যে দি প্রাইম অব মিস জেন ব্রডি অন্যতম ।

আগে

এখন

আলোচ্য প্রসঙ্গে এলিজাবেথ টেলর অন্যতম নাম অবশ্যই । প্রাচীন মিসরের রহস্যময় রানি ক্লিওপেট্রা’র কথা মনে হলেই হলিউডের যে অভিনেত্রীর কথা সবার আগে মনেরপর্দায় ভেসে ওঠে, তিনি এলিজাবেথ টেলর । অপরূপ সুন্দরী ইংরেজ এই নারী অভিনয় জগতে এসে অনেক পুরুষেরই মাথা ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন । ২০১১ সালে তিনি পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন, তার আগেই বিদায় নিয়েছেন রূপোলি পর্দার দুনিয়া থেকে ।

আগে

এখন

প্রসঙ্গক্রমে এসে যায় হেলেন মিরেন-এর কথা । ৭২ বছর বয়সী ইংরেজ এই অভিনেত্রী ১৯৬৬ সাল থেকেই কিন্তু নানা চলচ্চিত্রে কাজ করছেন । ষাটের দশকে দি লং গুডফ্রাইডে, দি মিড সামার নাইট ড্রিম-এর মতো অসাধারণ ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন তিনি ।

আগে

এখন

এরপর বলতে হয় জেন সাইমোরের কথা । ১৯৭৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত লিভ এন্ড লেট ডাই-এ অভিনয় করা এই বন্ড গার্লকে এখন হয়তো অনেকেই ভুলে গেছেন । ৬৬ বছরেরএই ইংরেজ নারী অভিনয় জগতে আসেন ১৯৬৯ সালে । এরপর টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্র দু’টি মাধ্যমেই দাপটের সঙ্গে অভিনয় চালিয়েছেন । ষাটের দশকের আবেদনময়ীঅভিনেত্রী হিসেবে ধরা হয় তাকে । ০০৭ সিরিজে অভিনয় করা সেরা ১০ বন্ড গার্লদের তালিকায় রয়েছেন জেন সাইমোর ।

আগে

এখন

সবশেষে ইসাবেলা রোজেলিনি । ১৯৫২ সালে ইতালিতে জন্ম নেয়া এই অভিনেত্রী মডেলিং জগতে আসেন ২৮ বছর বয়সে । সেখানে সাফল্যের দেখা পাওয়ার পর ১৯৭৬ সালে এম্যাটার অফ টাইম-এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের চলচ্চিত্রে তার অভিষেক ঘটে । যুক্তরাষ্ট্রের ছবির জগতে পা রাখেন ১৯৮৫ সালে । হোয়াইট নাইটস, কুজিনস, ডেথ বিকামস হার,ফিয়ারলেস সহ নানা ছবিতে প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ইসাবেলা । বয়স বাড়তে থাকলে ভোগ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে জায়গা নেয়া এই নারী পরবর্তীতে লেখালেখি এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডেই নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন ।

আগে

এখন

 

 

 

 

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*