বাবুঘাট থেকে পাওয়া গেলো নিখোঁজ ঘাটশিলার তরুণীর দেহ, সনাক্ত করলেন বাবা-মা

ঝাড়খণ্ডের ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় বিমান সেবিকার কোর্স করতে এসেছিলেন সুস্মিতা। দিন দশেক আগে তিনি নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন কালীঘাটের ঈশ্বর গাঙ্গুলি স্ট্রিটের এক বাড়িতে। গত কাল পর্যন্ত তাঁর কোনও হদিশ ছিল না। সোমবার বাবুঘাট থেকে এক তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই দেহটিই যে সুস্মিতার তা আজ নিশ্চিত করলো পুলিশ। পরিবারের তরফ থেকে দাবি করা হয়, ১০ ডিসেম্বর থেকে তারা সুস্মিতাকে ফোনে পাচ্ছিলেন না। সুস্মিতা কোথায় বলতে পারেননি বাড়িওয়ালা এবং রুমমেটরা। তারপর উদ্বিগ্ন পরিবার মেয়ের খোঁজে ঘাটশিলা থেকে কলকাতায় চলে আসে এবং কালীঘাট থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এই অভিযোগের ভিত্তিতেই পুলিশ তাঁর খোঁজ শুরু করে।
পুলিশ জানায়, গত সোমবার বাবুঘাটের গঙ্গায় এক তরুণীর দেহ ভাসতে দেখা যায়। তাঁরা দেহ উদ্ধারের পর সুস্মিতার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। মঙ্গলবার সুস্মিতার কয়েক জন বন্ধুবান্ধব এসে ওই দেহটি দেখে যান। দেহটি তাঁদের নিখোঁজ বান্ধবী সুস্মিতার বলেই মনে হয়েছিল তাঁদের। পোশাক, জুতো এবং হাতের কাটা দাগ দেখে দেহ সনাক্ত করেছেন মা-বাবা এবং ভাইয়েরা। সুস্মিতাকে খুন করা হয়েছে বলে এ দিন দাবি করে তাঁর বাবা জানায়, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না। তাঁকে খুন করা হয়েছে। আমার মেয়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত হোক। উনি মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও তার আর্জি জানিয়েছেন। সুস্মিতা যে বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসাবে থাকতেন সেখানকারই এক রুমমেট জানায়, সুস্মিতার কাছে ফোন আসলেই খুব চেঁচাতেন। অন্য জায়গায় গিয়ে কথা বলতেন। কারও নামে নম্বর সেভ করতেন না, ফোন আসলেই সুস্মিতা আড়ালে চলে যেতেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে সম্প্রতি ঘাটশিলা থেকে কয়েকজন সুস্মিতাকে ফোনে উত্যক্ত করছিল, তাঁকে হুমকিও দেওয়া হত!
যে বাড়িতে পেয়িং গেস্ট হিসেবে থাকতেন তিনি, তার মালিক জানিয়েছেন, গত রবিবার রাতে সেখান থেকে বেরিয়ে যান সুস্মিতা। এর পর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
পুলিশ মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন খতিয়ে দেখে জানতে পারে, শেষবার ধর্মতলায় ছিলেন সুস্মিতা! তারপর থেকে তাঁর মোবাইল সুইচড অফ ছিল। তারপর তদন্ত করে দেহটি উদ্ধার করেন তাঁরা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*