বিজেপি মিছিল করলে চিঠি নয় কেন! পরিসংখ্যান তুলে আনন্দ বোসকে তুলোধনা অভিষেকের

১৪৪ ধারা সত্ত্বেও রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্নামঞ্চ কেন? প্রশ্ন তুলে নবান্নকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রবিবার, ধর্নামঞ্চে থেকে রাজ্যপাল বোসকে তুলোধনা করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য-পরিসংখ্যা তুলে ধরে অভিষেক বলেন, বিজেপির বিধায়করা যখন রাজভবনে মিছিল করেন, তখন আপনি চিঠি লেখেননি কেন? তখন আপনার দায়িত্ববোধ কোথায় ছিল!

তৃণমূলের ধর্না নিয়ে মুখ্যসচিবকে রাজভবনের তরফে চিঠি পাঠানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে তথ্য তুলে তোপ দাগলেন অভিষেক। দুদিন আগেই একই প্রশ্ন তোলেন বিজেপি নেতৃত্ব। তারই প্রতিধ্বনি রাজভবনে। এর পাল্টা ধুয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, বিজেপি যখন রাজভবন চত্বরে ৭২জন বিধায়ক নিয়ে মিছিল করে তখন ১৪৪ ধারা লঙ্ঘন হয় না! বিজেপির নেতারা যখন রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের নামে লনে বৈঠকর করেন, তখন গণতন্ত্রের প্রতি আনন্দ বোসের আনুগত্য কোথায় থাকে? তখন আপনার দায়িত্ববোধ কোথায় থাকে? তৃণমূল রাস্তায় নেমে মানুষের অধিকারের জন্য লড়াই করছে বলেই তাদের বিরোধ!

এর পরেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন অভিষেক। বলেন, ১০-০৮-২১, ১২-০৭-২২ মিছিল করেন বিজেপি বিধায়করা। ১৫-০৬-২১, ১০-১০-২২, ২৮-০৪-২৩ বিজেপি বিধায়করা দল বেঁধে রাজভবনে যান। কিছুদিন আগেই বিজেপির বিধায়করা হেঁটে রাজভবনে ঢোকেন। তখন আপনি চিঠি লেখেননি কেন- রাজ্যপালকে সোজা প্রশ্ন অভিষেকের।

তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের কথায়, রাস্তায় তৃণমূল সাতদিন ধরে আন্দোলন করছে। আমাদের বলার আগেই বাংলার দাবি নিয়ে রাজ্যপালের সরব হওয়া উচিত ছিল। এরপরেই নাম না করে জগদীপ ধনকড়কে নিশানা করে অভিষেক বলেন, আগের রাজ্যপাল লাগাতার বাংলার সরকারের বিরোধিতা করায় তাঁকে পুরস্কৃত করে উপরাষ্ট্রপতি করা হবে। কেন্দ্রকে বলব, যাওয়ার আগে এরও একটা ব্যবস্থা করে যাক।

এরপরেই সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির বিরুদ্ধে তোর দাগেন অভিষেক। অভিযোগ করেন, দিল্লিতে প্রতিমন্ত্রীর দফতর থেকে তাঁদের টেনে হিঁচড়ে বের করে দেওয়া হয়। আর প্রতিমন্ত্রী এখানে এসে বলেন, তৃণমূল দেখা করতে আসেনি। এই মিথ্যাচারের মুখোশ খুলতে মন্ত্রীর দফতরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখানোর দাবি জানান অভিষেক।

অভিষেক বলেন, আজ ৪দিন হয়ে গেল ফুটপাতে আছি। গতকাল দার্জিলিঙে গিয়ে ৩জন প্রতিনিধি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। ২৪ঘণ্টা হয়ে গিয়েছে কিন্তু এখনও কোনও সদুত্তর মেলেনি। এখনও রাজ্যপাল কোনও সাক্ষাতের সময় দেননি। এরপরেই কটাক্ষ করে অভিষেক বলেন, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়িতে বন্যা, আপনি সেখানে না গিয়ে পাহাড়ে গেলেন কেন, দার্জিলিঙে তো বন্যা নেই! সব শেষে অভিষেক জানান, তাঁরা শুনেছেন রাজ্যপাল কলকাতা ফিরেছেন। তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করার পরেই উঠবে ধর্না।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*