চন্দ্রবাবু নাইডু আয়োজিত জনসভা থেকে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে মমতা

গত পাঁচ বছরে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের বক্তব্যে উনি মোদীকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ জানান। তিনি বলেন, এই বিতর্কে কোনও টেলিপ্রম্পটার থাকবে না, সেখানে সকলের সামনে একে অপরকে প্রশ্ন করা যাবে।

তিনি বলেন, এই নির্বাচন খুব তাৎপর্যপূর্ণ, তাই একটু ভেবেচিন্তে ভোট দেবেন।

নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সেটা দেশের দুর্ভাগ্য। ২টো সাইনবোর্ড হয়ে গেছে, এক প্রধানমন্ত্রী আর একজন ওনার দলের সভাপতি। ওরা সবাইকে ভয় দেখায়, ধমকায় আর চমকায়।

প্রথমবার নির্বাচনে চাওয়ালা হয়ে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করেছিল আর এখন চৌকিদার সেজেছে।
ওরা মানুষের চৌকিদার নয়। ওরা নোটবাতিলের চৌকিদার, লুঠের চৌকিদার, মিথ্যের চৌকিদার।

কত জওয়ানের প্রাণ গেল। এই ৫ বছরে সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বেশী হয়েছে। সবচেয়ে বেশী কৃষক আত্মহত্যা করেছে। ৪৫ বছরে বেকারত্ব সবচেয়ে বেশী।
গত ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী একটাও সাংবাদিক বৈঠক করেননি। উনি মিডিয়ার সামনে আসতে ভয় পান।
এমনকি যখন উনি ভাষণ দেন তখন টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করেন। আর উনি সবসময় মিথ্যে কথা বলেন।
দেশের নেতা হওয়া উচিত মহাত্মা গান্ধী, মৌলানা আজাদ, আম্বেদকর, রাজেন্দ্র প্রসাদের মত।

উনি ব্লকের নেতাই হতে পারলেন না, উনি দেশের নেতা হবেন কি করে।

বিজেপির কার্যালয় এখন একটা শপিং মল হয়ে গেছে।
পুলওয়ামা আক্রমনের পর কেন নরেন্দ্র মোদী সর্বদল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেননি?
দেশ জ্বলছে। গো রক্ষার নামে ওরা মানুষকে মেরে ফেলছে।
আমরা মোদীকে আর চাই না কারণ আমরা বেকারত্ব চাই না।

আমরা মোদীকে আর চাই না কারণ আমরা দাঙ্গা চাই না।
আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি চাই, তাই, মোদীকে চাই না।
কে প্রধানমন্ত্রী হবে, আমরা পরে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করব।

আমরা সারা বছর মানুষের পাশে থাকি।

কয়েকটি বাছাই করা সংবাদ মাধ্যমের হাত ধরে মোদী ক্ষমতায় ফিরতে পারবে না।
দেশকে বাঁচাতে হলে মোদীকে হারাতে হবে।

কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারগুলিকে কাজ করতে দিচ্ছেনা।

ওরা সংবিধান ধ্বংস করছে। কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে।

যদি মোদী এবং অমিত শাহ ক্ষমতায় ফেরত আসে আমাদের দেশ আর থাকবে না। আমরা সকলে আমাদের স্বাধীনতা হারাব।

আমরা সকলে একসঙ্গে কাজ করব কেন্দ্রে জনগণের সরকার গড়ে তুলতে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*