মোদীকে ‘নির্মমতা’র জবাব দিলেন সৌগত

গত ১০ বছর ধরে ‘মমতা’ নয়, ‘নির্মমতা’ পেয়েছে বাংলার মানুষ। হলদিয়া থেকে নরেন্দ্র মোদীর ঝাঁজালো আক্রমণের কড়া জবাব দিল তৃণমূল। তৃণমূলের সাংসদ তথা দলের মুখপাত্র সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রীকে পালটা ‘নরাধম’ বলে কটাক্ষ করেন। তাঁর প্রশ্ন, কেন আন্দোলনরত কৃষকদের সঙ্গে দেখা করছেন না মোদী।

রবিবার মোদী রাজ্য সরকারকে তুলোধনা করে বলেন, “গত ১০ বছরে রাজ্য সরকার কতগুলো প্রকল্প উদ্বোধন করতে পেরেছে? বাংলার এই পরিস্থিতির জন্য এ খানকার রাজনীতিই সবচেয়ে দায়ী।” তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর এখানে কোনও ভাল রাজনৈতিক দলই আসেনি। কংগ্রেসের আমলে শুধু দুর্নীতি করেছে। বামেরা দুর্নীতির সঙ্গে অত্যাচার চালিয়েছে। বিকাশ আটকে দেন ওঁরা। হিংসা এবং অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ২০১১-র দিকে তাকিয়ে ছিলেন সকলে। পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাদি। মানুষ ওঁর কথায় বিশ্বাস করেছিলেন। কিন্তু ১০ বছরে নির্মমতা ছাড়া কিছু পাননি বাংলার মানুষ।”

মোদী এও বলেছেন, “মমতার হাত ধরে বাংলায় বামেদের অত্যাচারের নীতিই পুনর্জীবন পেয়েছে। বাংলায় দরিদ্র মানুষের সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। যাঁরা মা-মাটি-মানুষের কথা বলেন আজ ভারতমাতার জন্য কোনও আবেগ নেই তাঁদের।”

জবাবে সৌগত রায় বলেন, উনি মমতাকে বলছেন নির্মম। উনি তো নরাধম। কৃষকরা ৭০ দিন ধরে খোলা আকাশের নীচে বসে আছেন উনি তাঁদের সঙ্গে একবারও কথা বলেননি। নির্মম কে? উনি দেখেননি যে নোটবন্দির সময় ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে ১০০ লোক মারা গিয়েছেন। নির্মম কে?

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্য প্রশ্ন ছুঁড়ে প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেছেন, “নন্দীগ্রামে যাঁরা গুলি চালিয়েছিলেন, যাঁরা গরিবের রক্ত বইয়েছিলেন, আজ তাঁদের দলে নিচ্ছেন কেন? বাংলার মানুষ কি শুধু নির্বাচনের ঘুঁটি? দুঃসময়েও এখানকার রাজনীতিকরা নিজেদের ফায়দা খোঁজেন।”

সৌগত রায়ের দাবি, “প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারে যাতায়াত করেন। তাই বাংলার উন্নয়ন উনি চোখে দেখেননি। আর নন্দীগ্রামে যারা গুলি চালিয়েছে আমরা পার্টিতে কাউকে নিইনি। নন্দীগ্রামে গুলি চালনার পর মমতাই গিয়েছিলেন সেখানে।”

তবে এদিন সন্ধ্যেয় তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে দলের তরফে সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, যে উত্তরাখণ্ডের বিপর্যয়ের জন্য তারা এদিন মোদীর আক্রমণের কোনও জবাব দেবেন না৷ সোমবার যা বলার বলবেন৷ কিন্তু ‘নির্মমতা’ ইস্যুতে তৃণমূল আর চুপ করে থাকতে পারল না৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*