মমতা সরকার

আসুন বিশদে জানি
প্রকল্পঃ কন্যাশ্রী

এটি একটি আর্থিক উৎসাহদান প্রকল্প। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সূচনা হয় মূলত কন্যা সন্তানদের বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে। দরিদ্র মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া ও উচ্চশিক্ষায় ধরে রাখা এর অন্যতম উদ্দেশ্য। এই প্রকল্পের মাধ্যমে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর অবিবাহিতা ছাত্রীদের আর্থিক সহায়তা করা হয়। আগে এই প্রকল্পের মাধ্যমে দুধরনের সহায়তা পাওয়া যেত এখন তার সাথে নতুন করে সংযোজন করে আরও এক ধরনের (K3) আর্থিক সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বার্ষিক ৭৫০ টাকা বৃত্তি (K1), এককালীন ২৫,০০০ টাকা অনুদান (K2), এবং বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ৪৫% মার্কস থাকলে প্রতি মাসে আবেদনকারী কন্যারা কলা বিভাগে- ২০০০, বিজ্ঞান বিভাগে ২৫০০ টাকা সাহায্য পাবে (K3) এই প্রকল্পে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এই প্রকল্পটি ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর চালু হয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নারী ও শিশু উন্নয়নে অনেকগুলি যুগান্তকারী প্রকল্প চালু করেছেন তার মধ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি তাঁর স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্পের নামকরণ ও ডিজাইনটি তিনি নিজেই করেছেন।

এ রাজ্যে ৪০ লক্ষেরও বেশি ছাত্রী কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। সরকার স্বীকৃত নিয়মিত বা সমতল মুক্ত বিদ্যালয়ে বা বৃত্তিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠরত কেবলমাত্র অবিবাহিতা মেয়েরাই আবেদন করতে পারবে। বার্ষিক ভাতার জন্য ফর্ম, এককালীন অনুদানের জন্য ফর্ম, এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে ফর্মে আবেদন করতে হবে। পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মধ্যে হতে হবে। ফর্মের জন্য বয়স হতে হবে ১৩-১৮, এককালীন ২৫০০০ জন্য বয়স হতে হবে ১৮-১৯, ফর্মের জন্য পরবর্তী বয়স হতে হবে।

সম্প্রতি রাষ্ট্রপুঞ্জ কন্যাশ্রী প্রকল্পকে বিশ্বসেরা প্রকল্পের শিরোপা দিয়েছে। বিশ্বের মোট ৫৫২ টি প্রকল্পের মধ্যে শ্রেষ্ঠ প্রকল্প হিসাবে কন্যাশ্রী রাষ্ট্রপুঞ্জের ২০১৭ জন পরিষেবা পুরষ্কার অর্জন করেছে। ২৩ জুন ২০১৭ নেদারল্যান্ডের হেগ শহরে রাষ্ট্রপুঞ্জের আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই পুরষ্কার তুলে দেওয়া হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*