বাদল অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই বিরোধীদের বিক্ষোভে অচল সংসদ ৷ বিরোধীদের দাবি, পেগাসাস ইস্যুতে সংসদে আলোচনা করতে হবে ৷ কিন্তু কেন্দ্রের মোদি সরকার এই নিয়ে আলোচনায় নারাজ ৷ কেন্দ্র যদি আলোচনা না চায়, তাহলে বিরোধীদের প্রতিবাদের জন্য বিক্ষোভ ছাড়া আর বিকল্প কী রাস্তা আছে ? শুক্রবার নয়াদিল্লি থেকে এই প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় ৷ একই সঙ্গে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের সাসপেন্ড করা নিয়েও সরব হয়েছেন ৷ তাঁর অভিযোগ, শান্তনু সেনের বক্তব্য শোনার আগেই তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলা হয়েছে ৷
প্রসঙ্গত, পেগাসাস নিয়ে বিক্ষোভ চলাকালীন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাত থেকে কাগজ কেড়ে নেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ শান্তনু সেন ৷ তার পর তা ছিড়ে ছুঁড়ে দেন চেয়ারম্যানের আসনের দিকে ৷ তখন অবশ্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নায়ডু আসনে ছিলেন না ৷ কিন্তু এই ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয় শান্তনু সেনকে ৷ আগামী ১৩ অগস্ট পর্যন্ত চলবে সংসদের বাদল অধিবেশন ৷ সেই দিন পর্যন্ত সাসপেন্ড শান্তনু সেন ৷ পরে তৃণমূলের কংগ্রেসের আরও ছ’জন সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয় ৷ কিন্তু তাঁদের একদিনের জন্য সাসপেন্ড করা হয়েছিল রাজ্যসভা থেকে ৷
তবে বৃহস্পতিবার এই নিয়ে ধুন্ধুমার বাধে রাজ্যসভায় ৷ তৃণমূলের সাংসদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ এদিন সুখেন্দুশেখর রায় দাবি করেছেন, সাসপেনশনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের আটকানো হয়েছে ৷ পরে রাজ্যসভায় দলের নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ৷
এই সূত্রেই কেন্দ্রের মোদী সরকারকে বিঁধেছেন সুখেন্দুশেখর রায় ৷ তাঁর দাবি, যখন সরকারের গণতান্ত্রিক বোধ থাকে না, সংসদের লোকসভা বা রাজ্যসভার অধ্যক্ষ বা চেয়ারপার্সনকেই ঠিক করতে হবে কীভাবে অধিবেশন চলবে ৷ কিন্তু সেটাও ঠিকমতো হচ্ছে না বলে তিনি অভিযোগ করেছেন ৷
Be the first to comment