ভারতীয় দণ্ডবিধি ও ফৌজদারি আইন কাঠামো বদলের প্রস্তাব দিলেন অমিত শাহ

ব্রিটিশ আমলে তৈরি হওয়া ভারতীয় দণ্ডবিধি এবং ফৌজদারি আইনের কাঠামোয় বদল আনার ডাক দিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ইতিমধ্যেই সেই প্রক্রিয়ার কাজ শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রয়োজনে পুলিশ আধিকারিকদের মতামতও নেবেন তাঁরা, এমনটাই জানিয়েছেন শাহ। শুক্রবার লখনউয়ের রাজ্য পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত চতুর্থ অল ইন্ডিয়া পুলিশ সায়েন্স কংগ্রেসের (এআইপিএসসি) স্বেচ্ছাসেবক অধিবেশনে বক্তৃতার সময় একটি ন্যাশনাল ফরেন্সিক সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পুলিশ পদে আগ্রহী প্রার্থীদের জন্য কেন্দ্রীয় রক্ষা শক্তি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির কথাও ঘোষণা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

সেই অনুষ্ঠান থেকেই শাহ বলেন, ভারত সরকার ফৌজদারি আইন এবং ভারতীয় দণ্ডবিধিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য কাজ করতে চলেছে। সেখানে অস্ত্র আইনে পরিবর্তন করা হবে। এমনকি পরবর্তীতে হতে চলেছে মাদক সম্পর্কিত সমস্ত আইন। ব্রিটিশরা যা করে গিয়েছিল তা এই দেশে দাসত্ব রক্ষার স্বার্থে। সেই সময় নাগরিকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হত না। কিন্তু এখন আমরা স্বাধীন, তাই সেই পদ্ধতি এখনও চালিয়ে যেতে পারি না আমরা।

অমিত শাহ আরও বলেন, একজন মানুষ যখন অপর একজনকে হত্যা করে, তার চেয়ে জঘন্য অপরাধ আর হয় না। এর জন্য ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৩০২ ধারা রয়েছে। তবে বর্তমান ব্যবস্থায় সম্পত্তি লুট করা বা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের মতো অপরাধ কিন্তু হত্যার মতোই ঘৃণ্য অপরাধ। ইতিমধ্যেই বিপিআরডি এই আইন পরিবর্তনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে তাঁদের সুপারিশ প্রেরণ করেছে। আমি কোনও তাড়াহুড়ো করতে বলছি না। সব আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। কীভাবে এই প্রক্রিয়াটিকে সহজ করা যায়, সে বিষয়ে পুলিশের সহযোগিতাও নেওয়া হবে। যে পরিবর্তন শতাব্দীতে একবার হয়, সেখানে অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে আমাদের সামনে।

এমনকী অমিত শাহ এও বলেন যে তাঁরা এই বিষয়ে পরামর্শ, সুপারিশ ও খসড়া নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে দেবেন এবং কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে আইনজীবী ও বিচারকদের পরামর্শও নেবেন। একই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বলেন যে বর্তমানে অপরাধ শব্দটি আন্তর্জাতিকতা ছাড়িয়ে গিয়েছে এবং তাই জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য এই নতুন প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*