কারা এসব করছে সকলেই জানে, পরপর শহরে গুলি নিয়ে তোপ দিলীপ ঘোষের

পরপর দু’দিন খাস কলকাতায় গুলি চলার ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই তোলপাড় রাজ্য। কোথা থেকে মুড়ি মুড়কির মতো মানুষের হাতে বন্দুক আসছে, কীভাবেই বা তারা প্রকাশ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটানোর সাহস পাচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে বিভিন্ন মহল। প্রশ্ন উঠছে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়েও। এ নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়েছে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, এটা কলকাতায় হয়েছে বলে এত বেশি চোখে পড়ছে। জেলায় জেলায় আইনশৃঙ্খলা তলানিতে বলে দাবি করেন মেদিনীপুরের সাংসদ।

রবিবার নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, মহানগর বলে আমাদের একটু বেশি চোখে পড়ছে। জেলায় জেলায় যে ধরনের অসামাজিক কাজকর্ম শুরু হয়েছে, রাজ্য সরকারের কোথাও কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। এখানকার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। তাই রাজ্যের মানুষকে এখানকার গুন্ডাদের হাতে তুলে দিয়েছেন।

দিলীপ ঘোষের সংযোজন, একই দিনে দু’জন কাউন্সিলর মারা গিয়েছেন। দোলের দিন, তার পরদিন প্রকাশ্যে গুলি চলেছে শহরে। সকলেই জানেন, যাঁরা এটা করছেন তাঁরা কত বড় দুষ্কৃতী। তাঁদের নামে অনেক অভিযোগই আছে। তারপরও অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, কেউ ধরা পড়ছেন না। একজনেরও সাজা হচ্ছে না।

রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে শনিবার বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। তাঁর বক্তব্য ছিল, রাজ্যে গুলি-কার্তুজ না থাকলে পুলিশ কিংবা আদালতও উঠে যাবে। ফিরহাদের বক্তব্য ছিল, যদি এমন হয় কোথাও গুলি চলবে না, কোনও দুষ্কৃতী থাকবে না, তা হলে তো পুলিশই উঠে যাবে। তা হলে তো আদালতই উঠে যাবে। বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ এ নিয়েও একহাত নেন রবিবার। তিনি বলেন, কোথায় আর এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা আছে? মন্ত্রী বলছেন, এটা হয়ে থাকে! আসলে এ রাজ্যে পুলিশের কাজ সরকারের হয়ে কাজ করা। বিরোধীদের আটকানো।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*