করোনা মোকাবিলায় আয়ুশ হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করবে কেন্দ্র

করোনা মোকাবিলায় আয়ুশ হাসপাতালগুলিকেও ব্যবহার করার প্রস্তুতি নিল কেন্দ্র। দেশের সব আয়ুশ হাসপাতালকে চিঠি লিখে সে কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় আয়ুশ সচিব রাজেশ কোটেচা। এ রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে মোট ষোলোটি আয়ুশ হাসপাতাল রয়েছে। সরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল চারটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল তিনটি। বেসরকারি হোমিওপ্যাথি হাসপাতাল সাতটি, আয়ুর্বেদ হাসপাতাল রয়েছে দু’টি। একটি বেসরকারি উদ্যোগে চলা ইউনানি হাসপাতাল রয়েছে।

সব হাসপাতালেরই অধ্যক্ষকে চিঠি দিয়েছেন কোটেচা। কার কত শয্যা, কত ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী তার তালিকা পাঠাতে বলা হয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, আয়ুর্বেদের দৌলতেই চিন করোনা মহামারীকে তাড়াতাড়ি সামলাতে পেরেছে। তাঁরা একটি পেপারও জনসমক্ষে এনেছেন। যাতে দেখা যাচ্ছে, চিনে ৭০১ জন করোনা পজিটিভ রোগীকে একটি আয়ুর্বেদিক ক্বাথ খাওয়ানো হয়েছে।

এর মধ্যে ৯০ শতাংশ রোগী সুস্থ হয়েছেন। ১৩০ জন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন। বাকিদের সংক্রমণের মাত্রাও অনেক কমেছে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের পর্যবেক্ষণ, ভাইরাস গবেষণায় আয়ুর্বেদের পাঁচ হাজার বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। করোনা-যুদ্ধে শামিল হলে আয়ুর্বেদ আরও অনেকটা এগিয়ে যাবে।

করোনা আতঙ্কে কাঁপছে দেশ। বুধবার সকাল পর্যন্ত দেশজুড়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হলো ৫৬২। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে মারণ করোনার বলি এখনও পর্যন্ত ১১। বুধবার সকালেও তামিলনাড়ুর মাদুরাই এর হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর মিলেছে।

মধ্যপ্রদেশে নতুন করে পাঁচ করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে ইন্দোরে। পাঁচজনের শরীরে মিলেছে মারণ ভাইরাস। তাদের প্রত্যেকটি আইসোলেশন রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে। বুধবার সকাল পর্যন্ত করোবা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪।

মহারাষ্ট্রে ক্রমেই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে মারণ করোনা। মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে সংকটের এই পরিস্থিতিতে রাজ্যবাসীকে প্রশাসনের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করার জন্য আবেদন জানিয়েছেন লকডাউন চলাকালীন যাতে কেউ ঘরের বাইরে না আবেদন সে ব্যাপারেও আবেদন জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী। কেরলেও কাপুনি হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভয়াল করোনা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*