ষষ্ঠ দফার ভোটে দুপুর পর্যন্ত ক্যামেরায় ধরা পড়ল জেলা ভিত্তিক বিক্ষিপ্ত ঘটনা..

রোজদিন ডেস্ক :- ষষ্ঠ দফায় যে বাংলায় ভোট হচ্ছে তা বোঝায় যাচ্ছে। কড়া নিরাপত্তা ব্যাবস্থা, বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী, রাজ্য পুলিশের বুথে প্রবেশ বারণ , কিউআরটি ঘুরে বেড়াচ্ছে বাইরে সে যেন বিশাল কর্মযজ্ঞ চলেছে বাংলায়।
শনিবারের ভোট নিয়ে দেওয়াল লিখন স্পষ্ট ছিল। হলও তাই।

শুক্রবার গভীর রাতে খুন। কেশপুরে ধুন্ধুমার। কাঁথি নন্দীগ্রামে অবাধে ছাপ্পার অভিযোগ। পোলিং এজেন্টের বেপাত্তা হয়ে যাওয়া। এই সব যেন ভোটের পরিবেশ আরও কঠিন করে তুলেছে।

ষষ্ঠ দফার ভোটে যে ছবিটা দুপুর পর্যন্ত ক্যামেরায় সবচেয়ে বেশি জায়গা করে নিল তার ঠিকানা কেশপুর। বিজেপি এজেন্টদের বুথ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছে যান ঘাটালের প্রার্থী হিরন চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে গ্রামবাসীরা ঘিরে ফেলেন। খড়ে আগুন লাগিয়ে, বাঁশ উঁচিয়ে তেড়ে যান হিরনের দিকে। হিরনের গাড়িতে ঢিলও পড়ে। বোঝা যায়, অসহায় হয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী। ততটাই যেন অসহায় কেন্দ্রীয় বাহিনী। যে ধুন্ধুমার চলেছে, তা রোখার যেন তাদেরও সাধ্য নেই। শেষমেশ কেশপুর থেকে ফিরে আসতে হয় হিরনকে। সংবাদমাধ্যমকে জানাতে গিয়ে হিরন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেশপুরকে পাকিস্তান বানিয়ে রেখেছেন। “

কাঁথির পরিস্থিতিও আজ বেহাল ছিল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী সেখানকার বিজেপি প্রার্থী। কাঁথিতে ভোট লুঠ হবে বলে আগে থেকেই অভিযোগ ও আশঙ্কার কথা জানাচ্ছিল তৃণমূল। শনিবার সকালে দেখা গেল, পাল্টা অভিযোগ জানাচ্ছে বিজেপি। শুক্রবার মধ্যরাত থেকে নাকি সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিকে টাকা বিলি করা হয়েছে বলে তাদের অভিযোগ।

মেদিনীপুর ও বাদ যায়নি শিরোনামে আসতে। সেখানকার তৃনমূল প্রার্থী জুন মালিয়া সকাল সকাল বিষ্ফোরক মন্তব্য করে বসেন। তিনি বলেছেন, তাঁর সঙ্গে নাকি অভদ্র আচরণ করেছেন ওই বুথের বিজেপির সভাপতি। শুধু তা নয়, বুথে বিজেপির পোলিং এজেন্টের সঙ্গেও তুমুল বিতণ্ডা হয় জুনের। তাঁকে চিৎকার করতে দেখা যায়।

কম যান না মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পাল। তাঁর গাড়ি আটকায় পুলিশ। অগ্নিমিত্রাকে এ সব ব্যাপারে দ্রুত মেজাজ হারাতে দেখা যায়। এদিনও যেন প্রস্তুত হয়েই ছিলেন। গাড়ি আটকাতেই বলেন, ‘গা জ্বলুনি হচ্ছে মমতার পুলিশের। বুথে বুথে ঘুরছি সহ্য হচ্ছে না।’

তমলুক তথা নন্দীগ্রামে আবার আরেক দৃশ্য।প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপর যেন অনুব্রত মণ্ডল এদিন ভর করেন। তিনি সাত সকালেই বলে দেন, তাঁকে ঘেরার চেষ্টা হলে ‘হাড়গোড় ভাঙা হবে’। এমনটা শোনা যায় লোক মারফত।
এত কিছুর পরেও ভালো খবর ও রয়েছে।দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুর ও পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রাম আসনে কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি। শুধু সৌমিত্র খাঁ ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজাতা মণ্ডলের পারস্পরিক চাপানউতোর ছাড়া বাকি মোটের উপর শান্তই ছিল।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*