‘শুভেন্দুর ওপর যত অত্যাচার করবেন বিজেপি ততই তাঁকে বড় নেতা বানাবে’ : অমিত

রোজদিন ডেস্ক :- বুধবার কাঁথিতে দলীয় প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর সমর্থনে জনসভা করেন অমিত শাহ।
গতকাল শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশি হানা নিয়ে বাংলায় এসে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বললেন, “শুভেন্দুর উপর অত্যাচার যত করবেন, বিজেপি ততই তাঁকে বড় নেতা বানাবে।”

এদিন কাঁথির ইটাবেড়িয়ার মাঠে হাইভোল্টেজ এই সভা থেকেই শুভেন্দুর পাশে থাকার বার্তা দেন অমিত শাহ।

শুভেন্দুর বাড়িতে পুলিশি অভিযানের ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের আপ্ত সহায়কের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। একইসঙ্গে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সৌমেন মিশ্রর বাড়ি এবং মেদিনীপুরে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক তন্ময় ঘোষের বাড়িতেও পুলিশ গভীর রাতে হানা দেয়।

মেদিনীপুর জুড়ে পুলিশি হানার বিরুদ্ধে এদিন সরব হন অমিত শাহ। জোর গলায় হুঙ্কার দেন, “পুলিশ শুভেন্দুর বাড়িতে তল্লাশি করে কিছু পায়নি। মমতা দিদি পুলিশের অবব্যবহার বন্ধ করুন, না হলে বাংলার মানুষ ২-৪ টি আসনও দেবে না। মেদিনীপুর থেকে হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি ।”
বুধবার ‘অধিকারী গড়’ কাঁথির জনসভা থেকে তিনি জানান, বাংলায় পা দিয়েই শুভেন্দুর ভাড়াবাড়িতে পুলিশি হানার খবর পান তিনি। এই নিয়ে শুভেন্দুর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এখানে ‘ল্যান্ড’ করতেই একটা এসএমএস পেলাম। জানলাম শুভেন্দুদার বাড়িতে পুলিশ ‘রেড’ করেছে।’’

এরপরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উদ্দেশে অমিত শাহের কটাক্ষ, “আরে মমতাদিদি, আমরা বিজেপির লোকজন আপনার পুলিশকে ভয় পাই না।আপনার মন্ত্রীর বাড়িতে রেড হলে ৫১ কোটি টাকা মেলে। আর শুভেন্দুদার বাড়িতে রেড হয়েছে। চার আনাও পাননি।’’ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ, তৃণমূল ভয় পেয়ে গেছে। তাই পুলিশের অপব্যবহার করছে।
এদিনের সভার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নানা ইস্যুতে মমতাকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে বাংলার শাসকদল অনুপ্রবেশকারীদের আশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন শাহ। তাঁর দাবি, বাংলায় ৪২টি লোকসভা আসনের ৩০টিতে বিজেপি জয় পেলেই তৃণমূল শেষ হয়ে যাবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*