আজকের দিন

প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়

(জন্মঃ ১১ ডিসেম্বর ১৯৩৫) হলেন ভারতের ত্রয়োদশ তথা বর্তমান রাষ্ট্রপতি (জুলাই, ২০১২-এ কার্যভার গ্রহণকারী)। তাঁর রাজনৈতিক কর্মজীবন ছয় দশকব্যাপী। তিনি ছিলেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা। বিভিন্ন সময়ে ভারত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রীর দায়িত্বও পালন করেছিলেন। ২০১২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের আগে প্রণব মুখোপাধ্যায় ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী ও কংগ্রেসের শীর্ষস্থানীয় সমস্যা-সমাধানকারী নেতা।
.
১৯৬৯ সালে তদনীন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাহায্যে প্রণব মুখোপাধ্যায় ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের টিকিটে নির্বাচিত হন। এরপর রাজনৈতিক কর্মজীবনে তাঁর দ্রুত উত্থান শুরু হয়। তিনি ইন্দিরা গান্ধীর একজন বিশ্বস্ত সহকর্মীতে পরিণত হন এবং ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা গান্ধীর ক্যাবিনেট মন্ত্রিসভায় স্থান পান। ১৯৮২-৮৪ পর্বে তিনি ছিলেন ভারতের অর্থমন্ত্রী। ১৯৮০ থেকে ১৯৮৫ পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার দলনেতাও ছিলেন।
.
প্রণব মুখোপাধ্যায় বিভিন্ন সময়ে ভারতের বিদেশ, প্রতিরক্ষা, যোগাযোগ, রাজস্ব ইত্যাদি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্ব পালনের বিরল কৃতিত্বের অধিকারী। ভারত-মার্কিন অসামরিক পরমাণু চুক্তি সাক্ষরের মতো বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। দলের প্রতি আনুগত্য ও অসামান্য প্রজ্ঞা এই বাঙালি রাজনীতিবিদকে কংগ্রেস দলে ও এমনকি দলের বাইরেও বিশেষ শ্রদ্ধার পাত্র করেছে। দেশের প্রতি অবদানের জন্য তাঁকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ ও শ্রেষ্ঠ সাংসদ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে। ১৯৮৪ সালে, যুক্তরাজ্যের ইউরোমানি পত্রিকার একটি সমীক্ষায় তিনি বিশ্বের শ্রেষ্ঠ পাঁচ অর্থমন্ত্রীর অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হন।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।

দিলীপ কুমার

(জন্ম: ১১ ডিসেম্বর; ১৯২২, জন্ম নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান)

তিনি হলেন একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, যিনি “ট্রাজেডি কিং” নামে সুপরিচিত, এবং সত্যজিৎ রায়ের মতে সর্বশেষ রচনাশৈলী একজন গুণী অভিনেতা।
তিনি বিভিন্ন ধরনের বৈচিত্রময় ভূমিকায় অভিনয় করেছেন, যেমন- যেমন রোমান্টিক ধাঁচের চলচ্চিত্র হিসেবে ১৯৪৯ সালের আন্দাজ, ১৯৫২ সালের বেপরোয়া বা হঠকারী এবং চালবাজ চরিত্রে আন, ১৯৫৫ সালে নাটকীয় চলচ্চিত্র দেবদাস, ১৯৫৫ সালের হাস্যরসাত্মক চলচ্চিত্র আজাদ, ১৯৬০ সালে ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র মুঘল-ই-আজম, এবং ১৯৬১ সালের সামাজিক ঘরানার চলচ্চিত্র গঙ্গা যমুনা।
.
ভারত সরকার ১৯৯১ সালে তাকে পদ্মভূষণ পুরস্কারে পদক দিয়ে সম্মানিত করেন এবং ১৯৯৪ সালে ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রতি তার অবদানসমূহের জন্য দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পদকে ভূষিত করেন এবং রাজ্যসভায় তাকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষের সদস্য মনোনীত করা হয়। তিনি ১৯৫৪ সালে ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার প্রথম পদক গ্রহণ করা ব্যক্তি এবং এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সমালোচকরা হিন্দি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে তাকে প্রশংসিত করেন। একটি ব্লগ পোস্টে অমিতাভ বচ্চন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে দিলীপ কুমারকে বেছে নিয়ে বিবৃতি প্রদান করেন।
.
তাঁর দক্ষ অভিনয়ে বহু সিনেমা সুপার ডুপার হিট হয়েছে। দাগ, দেবদাস, নয়া ডোর, আজাদ, মধুমতি, পয়গাম, কোহিনূর, লিডার, সংঘর্ষ, আদমী, গোপী, শক্তি, মশাল, সওদাগর তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলির মধ্যে অন্যতম।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।

বিশ্বনাথন আনন্দ

(জন্ম ডিসেম্বর ১১, ১৯৬৯, চেন্নাই)
তিনি একজন ভারতীয় দাবা গ্র্যান্ডমাস্টার। জানুয়ারি ২০১২-এর ফিদে তালিকা অনুযায়ী আনন্দের ইলো রেটিং ২৭৯৯, আর র‌্যাংকিং-এ তাঁর অবস্থান চতুর্থ (ভ্লাদিমির ক্রামনিকের পেছনে)। ইলো রেটিং-এর ইতিহাসে ২৮০০ পয়েন্টের বেশি পাওয়া মাত্র চার জন দাবাড়ুর মধ্যে আনন্দ একজন। আনন্দ ১৯৯৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত বিশ্বের সেরা তিন ধ্রুপদী দাবাড়ুর একজন এবং একই সময়কালের বেশির ভাগ অংশ জুড়ে বিশ্বের সেরা দ্রুতগতির দাবাড়ু হিসেবে পরিগণিত।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।

ম্যাক্স বর্ন

জন্মঃ ১১ ডিসেম্বর ১৮৮২
তিনি ছিলেন একজন জার্মান পদার্থবিজ্ঞানী এবং গণিতবিদ যিনি কোয়ান্টাম মেকানিকের উন্নয়নে সহায়ক ছিলেন। তিনি দৃঢ় রাষ্ট্রীয় পদার্থবিজ্ঞান এবং অপটিক্সে অবদান রেখেছিলেন এবং বেশ কয়েকটি কাজের তত্ত্বাবধান করেছিলেন। তিনি কোয়ান্টাম বলবিজ্ঞানগুলিতে “মৌলিক গবেষণার জন্য” পদার্থবিজ্ঞানে 1954 সালের নোবেল পুরস্কার জিতেছিলেন।
.
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

কিমি কাটকার

জন্মঃ ১১ই ডিসেম্বর ১৯৬৫
তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী ও মডেল। ১৯৮০-৯০ বলিউডে বহু সিনেমায় তিনি অভিনয় করেছেন।
.
১৯৮৫ সালে পাত্থার দিল ছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর সিনেমায় প্রবেশ তবে তারপর টারজান ছবিতে অভিনয়ে তিনি বিশেষ সাফল্য পান। এবং তারপর দোস্তি দুশমানি, মর্দ কি জুবান, মেরা লাহু, শিব শক্তি, ইন্তেকাম, দরিয়া দিল, আব মেরি ওয়ারি, উর্দি, জীবন দাতা ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেছেন।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে জানাই শুভ জন্মদিন।

তথ্য সংগ্রহেঃ মাসানুর রহমান

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*