আজকের দিন

ক্ষুদিরাম বসু

(৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৯ — ১১ আগস্ট ১৯০৮) তিনি তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির অন্তর্গত মেদিনীপুর জেলা শহরের কাছাকাছি কেশপুর থানার অন্তর্গত মোহবনী গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরুর দিকের সর্বকনিষ্ঠ এক বিপ্লবী। ফাঁসি মৃত্যুর সময় তার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর ৮ মাস ৮ দিন।
.
মেদিনীপুরে তাঁর বিপ্লবী জীবনের অভিষেক। তিনি বিপ্লবীদের একটি নবগঠিত আখড়ায় যোগ দেন। ১৯০২ সালে জ্ঞানেন্দ্রনাথ বসু এবং রাজনারায়ণ বসুর প্রভাবে মেদিনীপুরে একটি গুপ্ত বিপ্লবী সংগঠন গড়ে উঠেছিল। সেই সংগঠনের নেতা ছিলেন হেমচন্দ্র দাস কানুনগো এবং সত্যেন্দ্রনাথ বসু ছিলেন হেমচন্দ্র দাসের সহকারী।
.
৩০ এপ্রিল ১৯০৮-এ মুজাফফরপুর, বিহারে রাতে সাড়ে আটটায় ইওরোপিয়ান ক্লাবের সামনে বোমা ছুড়ে তিনজনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ক্ষুদিরামের বিচার শুরু হয় ২১ মে ১৯০৮ তারিখে যা আলিপুর বোমা মামলা নামে পরিচিত হয়। বিচারক ছিলেন জনৈক বৃটিশ মি. কর্নডফ এবং দুইজন ভারতীয়, লাথুনিপ্রসাদ ও জানকিপ্রসাদ। রায় শোনার পরে ক্ষুদিরামের মুখে হাসি দেখা যায়।
.
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে বীর শহীদকে জানাই শ্রদ্ধাঞ্জলি।

ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ

জন্মঃ ৩রা ডিসেম্বর ১৮৮৪
তিনি স্বাধীন ভারতবর্ষের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতীয় কংগ্রেস নেতা ও একজন প্রথিতযশা আইনজীবী।
.
তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন ও বৃত্তি পান। ১৯০২ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজে ভর্তি হন বিজ্ঞান বিভাগে। ১৯০৫ সালে প্রথম শ্রেনীতে উত্তীর্ন হয়ে কলা নিয়ে পড়তে শুরু করেন ও ১৯০৭ সালে অর্থনীতি বিষয়ে কৃতিত্বের সাথে স্নাতকোত্তর পাশ করেন।
.
ছাত্রাবস্থায়, ১৯০৬ খৃষ্টাব্দে কলকাতার বার্ষিক সভায় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে তার রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯১১ সালে কংগ্রেসের সদস্য ১৯১৬ সালে লখনৌতে মহাত্মা গাঁধীর সংস্পর্শে এসে চম্পারনে তথ্যনুসন্ধানে যান। এই কাজে সাহসিকতা ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন।
.
জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধা।

কঙ্কনা সেন শর্মা

( জন্ম ৩রা ডিসেম্বর, ১৯৭৯)
তিনি একজন ভারতীয় অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা অপর্ণা সেনের কন্যা। শর্মাকে প্রথমদিকে ভারতীয় কলা কেন্দ্র এবং স্বাধীন চলচ্চিত্রে দেখা যেত, এবং এই ধরনের কাজে তার অসামান্য অর্জন তাকে সময়াকালীন চলচ্চিত্রে অন্যতম অভিনেত্রীদের মধ্যে পথিকৃত করে তুলেছে।
.
সেন শর্মার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে শিশু শিল্পী হিসেবে “ইন্দিরা” (১৯৮৩) সিনেমায়। ২০০০ সালে প্রাপ্ত বয়স্ক অভিনেত্রী হিসেবে তার অভিষেক ঘটে বাংলা চলচ্চিত্র “এক যে আছে কন্যা” সিনেমায়। ঋতুপর্ণ ঘোষের “তিতলী” সিনেমায় তিনি একটি নেতিবাচক চরিত্র অভিনয় করেন।
.
এছাড়াও তিনি অমু, পেজ থ্রী, দোসর, ওমকারা, কর্কট রাশি, মেরিদিয়ান, ট্রাফিক সিগন্যাল, লাগা চুনরী মে দাগ, আজা নাচলে, ফ্যাশন, দিল কাবাডী, ওয়েক আপ সিড, মির্চ, সাত খুন মাফ, গয়নার বাক্স, সানগ্লাস, শেষের কবিতা, সজারুর কাঁটা ইত্যাদি বহু সিনেমায় অভিনয় করেন।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভেচ্ছা।

জসজিত সিং গিল

(জন্ম, ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭০), জিমি শেরগিল নামে পরিচিত একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা যিনি মূলত বলিউড ও পাঞ্জাবি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ১৯৯৬ সালে খালিস্তান আন্দোলনের উপির ভিত্তি করে নির্মিত ম্যাচিস এ অভিনয়ের মাধ্যমে জিমির অভিনয় জীবন শুরু হয়।
.
দিল হ্যায় তুমহারা, হাসিল, দিল ভিল পিয়ার ভিয়ার, চরস, হাম তুম, অগ্নিপথ, উমর, ইঁয়াহা, বাস এক পাল, লগে রাহো মুন্নাভাই, রাকিব, দশ কাহানিয়া, মাই নেম ইস খাঁন, গেম ইত্যাদি আরও সিনেমায় তিনি অভিনয় করেন।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।

মিতালী রাজ

(জন্মঃ ৩রা ডিসেম্বর ১৯৮২)
তিনি হলেন ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক এবং অন্যান্য মহিলা ক্রিকেটারদের তুলনায় সেরা খেলোয়াড়দের একজন।
.
মিতালী হলেন টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার যিনি ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হয়ে অধিনায়ক হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি মিল্টন কিনসে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১৯৯৯ সালে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আত্মপ্রকাশ করেন এবং উক্ত খেলায় তিনি ১১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। ২০০১-০২ মৌসুমে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট ম্যাচে ক্রিকেটে লক্ষ্ণৌ অভিষেক ঘটে।
.
জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভ জন্মদিন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*