আজকের দিন

পাবলো রুইজ ই পিকাসো

জন্মঃ ২৫ অক্টোবর
যিনি পাবলো পিকাসো হিসেবে পরিচিত, ছিলেন একজন স্প্যানিশ চিত্রশিল্পী, ভাস্কর, প্রিন্টমেকার, মৃৎশিল্পী, মঞ্চ নকশাকারী, কবি এবং নাট্যকার। বিংশ শতাব্দীর একজন বিখ্যাত এবং অত্যন্ত প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে তিনি কিউবিস্ট আন্দোলনের সহ-পতিষ্ঠাতা, গঠনকৃত ভাস্কর্যের উদ্ভাবন, কোলাজের সহ-উদ্ভাবন, এবং চিত্রশৈলীর বিস্তৃত ভিন্নতার কারণে অধিক পরিচিতি লাভ করেন। তার বিখ্যাত কাজের মধ্যে রয়েছে প্রোটো-কিউবিস্ট লেস ডেমোইসেরেস ডি’আভিগনন (১৯০৭) এবং স্প্যানের গৃহ যুদ্ধের বিরুদ্ধে আঁকা গের্নিকা (১৯৩৭)।

পিকাসো, হেনরি মাতিসে এবং মার্সেল ডচাম্প এই তিনজন শিল্পী ২০শ শতাব্দীর শুরুতে প্লাস্টিক আর্টে বৈপ্লবীয় উন্নতি সাধনের মাধ্যমে চিত্রকর্ম, ভাস্কর্য, প্রিন্টমেকিং এবং মৃৎশিল্পে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটান।
পিকাসো ২০শ শতাব্দীর শিল্পে একজন শ্রেষ্ঠ-পরিচিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হন।

১৮৯০ সালের পূর্বে বাবার অধীনে পিকাসোর প্রশিক্ষণ শুরু হয়। তার সে সময়কার অগ্রগতি ফুটে উঠে বার্সেলোনায় মুইজিও পিকাসোতে সংগৃহীত চিক্রকর্মগুলোতে। জাদুঘরটি যে কোন প্রধান শিল্পীর প্রারম্ভিক কাজের সংগ্রহের জন্য প্রখ্যাত। তাঁর শিল্পকর্মগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ল্য মুঁল্যা দ্য লা গালেৎ, দ্য ব্লু রুম, ওল্ড গিটারিস্ট, সেল্‌ফ-পোট্রেট, টু নুডস, থ্রি মুজিশিয়ানস, মডেল অ্যান্ড ফিশবৌল, গের্নিকা, ইত্যাদি।

অপর্ণা সেন

(জন্ম: অক্টোবর ২৫, ১৯৪৫)
একজন বিখ্যাত ভারতীয় বাঙালি অভিনেত্রী এবং চলচ্চিত্র পরিচালিকা। অপর্ণা সেন পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা চলচ্চিত্র সমালোচক এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা চিদানন্দ দাশগুপ্ত। তিনি কলকাতার মডার্ন হাই স্কুল ফর গার্লস এ লেখাপড়া করেছেন।তিনি কলকাতার বিখ্যাত প্রেসিডেন্সি কলেজে ইংরেজিতে অনার্স নিয়ে পড়েছিলেন যদিও ডিগ্রি নেননি।
.
১৯৬১ সালে ‘তিনকন্যা’ ছবিতে অভিনয়ই ছিলো এক্ষেত্রে অপর্ণার প্রথম অভিজ্ঞতা। এতে ‘সমাপ্তি’ ভাগে ‘মৃন্ময়ী’ হয়ে দেখা দেন তিনি। সত্যজিত রায়ের হাত ধরে এই পথে আসা তার, পরবর্তীতেও এই মহাপরিচালকের ‘পিকু’, ‘জনঅরণ্য’, ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়াও বাদ যায়নি ভিন্নমাত্রার পরিচালক মৃণাল সেন নির্মিত চলচ্চিত্রও। তার ‘আকাশকুসুম’, ‘একদিন আচানক’, ‘মহাপৃথিবী’-তেও অভিনয় করেন অপর্ণা সেন। ১৯৮১ সালে অপর্ণা সেনের প্রথম পরিচালিত সিনেমা ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’ মুক্তি পায়। এর জন্য তিনি ম্যানিলা চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে গোল্ডেন ঈগল পুরষ্কার পান। এটি তার জন্য অবশ্যই একটি বড় সফলতা যে, তার পরিচালনার প্রথম ছবিটিই জাতীয় পুরষ্কারও লাভ করে।
.
নিজের পরিচালনায় পছন্দের ছবি হিসেবে তালিকাতে প্রথমেই তিনি রাখেন ‘পারমিতার একদিন’, ‘জাপানিজ ওয়াইফ’, ‘আরশিনগর’ ও ‘থার্টি সিক্স চৌরঙ্গী লেন’কে। নারীবাদকে নিজের মতো করে ব্যাখ্যা করেন এই নারী। হয়তো প্রত্যেক নারীই তা-ই করেন! অপর্ণার মতে নারীবাদ আন্দোলনের সময় যে ক্ষিপ্রতা, যে গতির প্রয়োজন ছিলো তা সাধারণ জীবনে এসে অন্য রূপ নেয়। ব্যাপারটা ঠিক ‘ফেমিনিস্ট’ না হয়ে ‘হিউম্যানিস্ট’-এর কাতারে পড়ে যায়। নারীবাদের সংজ্ঞা ক্রমশ পাল্টাচ্ছে বলেই মনে করেন অপর্ণা সেন।
.
“আমি মিস ক্যালকাটা নাইনটিন সেভেনটিন সিক্স/এখনও তো কেউ জানে না, আমার স্ট্যাটিস্টিক্স!” গানটি আজও বেশ জনপ্রিয়।

শিশু সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, গীতিকার ও সম্পাদক অখিলবন্ধু নিয়োগী (স্বপনবুড়ো)

জন্ম-২৫ অক্টোবর, ১৯০২ ( জন্ম – ময়মনসিংহ)
পিতা-গোবিন্দচন্দ্র নিয়োগী প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
স্কটিশচার্চ কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক, সিটি কলেজ থেকে আই এস সি পাশ করে আর্ট কলেজে তিনি পড়াশোনা করেন।
১৯৪৫ সাল থেকে যুগান্তর পত্রিকায় ‘ছোটদের পাততারি’ বিভাগের নিয়মিত লেখক এবং পরিচালক ছিলেন। সেই সূত্রেই ১৯৫৭-য় তৈরি করেন শিশুদের প্রতিষ্ঠান ‘সবপেয়েছির আসর’। তাঁর কথায়, এ হল ‘মানুষ গড়ার কারখানা’। তখন নাচ, গান, কবিতা, ব্রতচারী ইত্যাদি নানা আয়োজনে ভরা থাকত ছোটদের বিকেলগুলো। আসর বসত শোভাবাজার রাজবাড়িতে। পরে এর নানা শাখা কলকাতার গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়ে ভারতের বিভিন্ন জায়গায়।
.
এই সময় ‘শিশুসাথী’ পত্রিকায় তাঁর ধারাবাহিক উপন্যাস ‘বেপরোয়া’ প্রকাশিত হয়।
১৯৫২ সালে ‘আন্তর্জাতিক শিশুরক্ষা সমতি’-এর আমন্ত্রনে ভিয়েনা যান। ফিরে এসে লেখেন ‘সাত সমুদ্র তের নদীর পারে’। তিনিই প্রথম নেতাজীর স্ত্রী ও কন্যার কথা এই বইতে লেখেন।
.
তিনি লেখেন বাবুইবাসা, বোর্ডিং, বনপলাশীর ক্ষুদে ডাকাত, বাস্তুহারা, পঙ্ক থেকে পদ্ম জাগে, ধন্যি ছেলে, কিশোর অভিযান, ভুতুরে দেশ, ইত্যাদি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*