আজকের দিন

স্যার সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী

(জন্ম: ১০ নভেম্বর, ১৮৪৮ – মৃত্যু: ৬ আগস্ট, ১৯২৫)

ব্রিটিশ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রথম যুগের একজন বিশিষ্ট নেতা। তিনি ছিলেন ঊনবিংশ শতাব্দীর রাজনৈতিক সংগঠন ন্যাশনাল কনফারেন্সের প্রতিষ্ঠাতা। পরে এ দলটিকে নিয়ে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেন। তাঁকে রাষ্ট্রগুরু সম্মানে ভূষিত করা হয়েছিল।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী ইংল্যান্ডে চলে যান এবং ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিস (আইসিএস) পরীক্ষা পাশ করেন। অতঃপর ১৮৭১ সালে তিনি সিভিল সার্ভিসের কর্মজীবনে সহকারী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রবেশ করেন।

২৬ জুলাই, ১৮৭৬ সালে সুরেন্দ্রনাথ সর্ব ভারতীয় আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে ভারতীয় সংঘ বা দি ইন্ডিয়ান এসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮৭৮ সাল হতে তিনি বেঙ্গলী শিরোনামে একটি কাগজ সম্পাদনা করতেন এবং নির্ভিক ও ঔৎসুক চিত্তে জাতির স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিশেষ করে জাতীয় সংস্কৃতি, একতা, স্বাধীনতা ও মুক্তির বিষয়ে নিয়মিত লিখতেন। এছাড়াও, সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় বিধানসভার অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৮৭৬-১৮৯৯ সাল পর্যন্ত একাধারে তিনি কলকাতা কর্পোরেশনেরও সদস্য হিসেবে ছিলেন।

ঊনবিংশ শতকে রাজা রামমোহন রায়ের নির্দেশিত সমাজ-ধর্ম বিষয়ক পুণর্জাগরণের আন্দোলনকে আরো বেগবান করতে বিশেষভাবে সচেষ্ট ছিলেন।

আজ তাঁর এই জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধা।

জয় গোস্বামী

(জন্মঃ নভেম্বর ১০, ১৯৫৪)

বিংশ শতাব্দীর শেষভাগে আবির্ভূত একজন আধুনিক বাঙ্গালী কবি।ভারতীয় পশ্চিম বাংলার এই কবি বাংলা ভাষার উত্তর-জীবনানন্দ পর্বের অন্যতম জনপ্রিয় কবি হিসাবে পরিগণিত। তাঁর কবিতা চমৎকার চিত্রকল্পে, উপমা এবং উৎপ্রেক্ষায় ঋদ্ধ। তিনি দুবার আনন্দ পুরস্কার লাভ করেছেন। বজ্রবিদ্যুৎ-ভর্তি খাতা কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি পুরস্কার অর্জন করেন। তাঁর কবিতার একটি বিখ্যাত পংক্তি ‘‘অতল তোমার সাক্ষাৎ পেয়ে চিনতে পারিনি বলে / হৃদি ভেসে যায় অলকানন্দা জলে’’’।

তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ’ প্রকাশিত হয় ১৯৭৬ খ্রিস্টাব্দে। মায়ের থেকে টাকা নিয়ে তিনি এই বইটি । প্রকাশনা বাবদ মোট ১৪৫ টাকা ব্যয় হয়েছিল। মায়ের টাকাতেই ১৯৭৮-এ তিনি প্রকাশ করেছিলেন ২য় কাব্যগ্রন্থ দ্বিতীয় বই প্রত্নজীব। অতঃপর কবি শঙ্খ ঘোষ তাকে প্রকাশক জুটিয়ে দেন এবং ১৯৮১-তে তাঁর তৃতীয় কাব্য আলেয়া হ্রদ প্রকাশিত হয়।

ক্রিসমাস ও শীতের সনেটগুচ্ছ, প্রত্নজীব, আলেয়া হ্রদ, উন্মাদের পাঠক্রম, ভূতুমভগবান, নুন, ঘুমিয়েছো, যারা বৃষ্টিতে ভিজেছিল, হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ, সেইসব শেয়ালের, রৌদ্রছায়ার সংকলন ইত্যাদি তাঁর সৃষ্টি।

জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভেচ্ছা।

আশালতা সিংহ

(জন্মঃ- ১০ নভেম্বর, ১৯১১ – মৃত্যুঃ- ১৫ মে, ১৯৮৩)

তিনি ছিলেন ঔপন্যাসিক, গল্পকার এবং প্রাবন্ধিক যাঁর লেখা প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন, ‘…আশার মননশক্তির মধ্যে অসাধারণতা আছে।”

আশালতা সিংহ বিহারের ভাগলপুরে জন্মগ্রহণ করেন। বাল্যশিক্ষার হাতেখড়ি গৃহের ভিতরেই। আশালতা সিংহ এগারো বছর বয়সে বাবার সঙ্গে কলকাতায় এসে উঠেন বেলতলা রোডের বাড়িতে। তের বছরের ১৯২৪ সালে বীরভূমের বাতিকার গ্রামের জমিদার বাড়ির বউ হতে হয়েছে।

বর্তমান শতকে তিরিশের দশকে তাঁর গল্প ও উপন্যাস সকলকে চমক দিয়েছিল। সাহিত্য জীবনে খ্যাতি ও অখ্যাতি দুই তিনি পেয়েছিনেন। প্রবাসী, বসুমতী, বিচিত্রা সব বড় বড় কাগজে লিখেছেন। আবির্ভাব, কলেজের মেয়ে, স্বয়ম্বরা, বিয়ের পরে, শহরের মোহ, সমর্পণ, একাকী, ভুলের ফসল, নূতন অধ্যায়, দুই নারী, জীবনধারা ইত্যাদি তাঁর সৃষ্টি।

জন্মদিবসে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শ্রদ্ধার্ঘ্য।  

আশুতোষ রানা রামনারায়ন নিকরা

জন্মঃ ১০ই নভেম্বর

১৯৬৭ সালে গাদারওয়াড়া মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একজন ভারতীয় অভিনেতা। বলিউডে প্রচুর সিনেমায় তিনি কাজ করেছেন এবং শুধু হিন্দি নয় মারাঠা, তামিল, তেলেগু, কানাড়া ভাষার সিনেমাতেও কাজ করেছেন।

তিনি স্বভিমান নামক টিভি সিরিয়ালে প্রথম কাজ শুরু করেন। তারপর ফার্জ, কাভি কাভি, সাজিস, এবং সরকার কি দুনিয়াতে সঞ্চালক হিসাবেও কাজ করেছেন। অপরাধি কন নামক এক জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালে তিনি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

এছাড়াও তিনি অনেক হিন্দি সিনেমায় অভিনয় করেন দুশমান, হামটি শর্মা কি দুলহানিয়া, ব্রাদারস, ডার্টি পলিটিক্স, শোরগোল ইত্যাদি সিনেমায় অভিনয় করেন।

জন্মদিনে রোজদিনের পক্ষ থেকে তাঁকে জানাই শুভেচ্ছা।  

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*