রুশ বিপ্লব ১০০

রাষ্ট্র সংঘে এখন সদস্য সংখ্যা ১৯২। চীন, ভিয়েতনাম, কিউবা, উত্তর কোরিয়া—এই দেশগুলোকে বাদ দিলে বাকি থাকে ১৮৮টি দেশ। এইসব দেশে  ভোট হয়। ভোটে বারাক ওবামার জায়গায় ট্রাম্প, মনমোহন সিং-এর জায়গায় মোদী, রামের জায়গায় শ্যাম আসেন। শ্যাম এসে পরের বার জেতার জন্য কিছু সংস্কারমূলক কাজ করেন। গরিবের হয়ত ছিটেফোঁটা উপকার হয়। সকালে গরিবের জন্য কাজ করলে, রাতে ধনীর জন্য কাজ করেন। গরিবের হয়ত আয় দু-বছরে দশ শতাংশ বৃদ্ধি পেল, আবার ওই দু-বছরেই ধনীর আয় বৃদ্ধি পেল ১০০ শতাংশ। বৈষম্য বেড়েই চলে। নেতারা গরিবকে বোঝান, তোমার কপাল খারাপ। কি আর করবে বল, কপালের নাম গোপাল। কিন্তু ধনী-দরিদ্রের ভেদাভেদ ঘুচিয়ে শোষণ মুক্তির পথ দেখিয়েছিল রাশিয়ার বিপ্লব। আজ থেকে ১০০ বছর আগে ৭-১৭ নভেম্বর ছিল দুনিয়া কাঁপানো দশ দিন। আগামী বছর রাশিয়ায় বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর বসবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের লোকেরা গিয়ে শহরটা দেখে চমকে যাবেন। অথচ এ দেশটাই ১০০ বছর আগে জার-এর আমলে খুবই দুর্দশায় ছিল। মানুষ খেতে পেতেন না, শিক্ষার কোনও সুযোগ ছিল না। হাসপাতালের কোনও ব্যবস্থা ছিল না। জার-এর স্তাবক কিছু সামন্ত প্রভুর জন্যই ছিল সব কিছুর ব্যবস্থা। বহু লোক ভিক্ষা করতেন, আর কিছু লোক টাকার পাহাড় গড়ে তুলতেন। দুনিয়ার আর সকল দেশেই ছিল একই অবস্থা। তখন রাষ্ট্র সংঘ ছিল না। একটা দেশকে কি করে গড়া যায়, প্রতিটি দেশবাসীর মুখে কি করে হাসি ফোটানো য়ায় তা দেখিয়ে দিয়েছিল রুশ বিপ্লব। অার ঠিক কখন কীভাবে সেই বিপ্লবটা করতে হবে তার নির্দেশ দিয়েছিলেন ভ্লাদিমির ইলিচ উলিয়ানভ লেনিন। সোভিয়েত ইউনিয়ন যা ছিল এবং যা হয়েছে তা দেখে বারবার মনে আসে সুকান্তের সেই কবিতা—‘বিপ্লব স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমিই লেনিন।’

দেবাশিস ভট্টাচার্য

সম্পাদক

০৭.১১.২০১৭

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*