শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণের জন্মতিথিতে রোজদিনের শ্রদ্ধাজ্ঞাপণ

“জীবন পদ্মে স্পন্দিত হোক রামকৃষ্ণ সারদা নাম

করুণ কান্তি রূপ ও অধরা অশ্রুসরস করুক প্রাণ”।

যুগাবতার রামকৃষ্ণের জন্মদিন আজ। ১৮৩৬ সালের এই দিনে হুগলী জেলার কামারপুকুরে জন্ম হয় গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের। তাঁর পিতার নাম ছিল ক্ষুদিরাম চট্টোপাধ্যায়, মা চন্দ্রমণি দেবী। ক্ষুদিরাম যখন গয়ায় ছিলেন তখন তিনি স্বপ্নাদেশ পান যে তাঁর ঘরে আসছেন বিষ্ণুর অবতার। চন্দ্রমণি দেবী শিবমন্দিরে পুজো করার সময় এক জ্যোতি তাঁর গর্ভে প্রবেশ করে। তিনিই গদাধর চট্টোপাধ্যায় ওরফে ঠাকুর শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ। দক্ষিনেশ্বরে মায়ের একনিষ্ঠ পূজারিই তিনি ছিলেন না, তিনি ছিলেন মহান দার্শনিক। প্রকৃত অর্থেই তিনি ঈশ্বরকে পেয়েছিলেন। মতান্তরে তাঁকে ঈশ্বরের অবতারও বলা হয়। তাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠের মূলকেন্দ্র বেলুড়ে হলেও প্রায় দুই শতাধিক রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে আছে। ভারত, বাংলাদেশ, অ্যামেরিকা, রাশিয়া তো বটেই, আরও বহু ছোটো ছোটো দেশেও আছে রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ। এই যুগপুরুষের মুখনিঃসৃত বাণী মানুষকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে। যে কোনও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে এই বাণী মানুষকে পথ দেখায়।

তাঁর ১০ টি বাণী রোজদিনের পাঠকদের জন্যঃ

· “God is in all men, but all men are not in God; that is why we suffer”.

· “God can be realized through all paths. All religions are true. The important thing is to reach the roof. You can reach it by stone stairs or by wooden stairs or by bamboo steps or by a rope. You can also climb up by a bamboo pole”.

· “God is everywhere but He is most manifest in man. So serve man as God. That is as good as worshiping God”.

· “When one has love for God, one doesn’t feel any physical attraction to wife, children, relatives and friends. One retains only compassion for them”.

· “The world is indeed a mixture of truth and make-believe. Discard the make-believe and take the truth”.

· “If you want to go east, don’t go west”.

· “It is easy to talk on religion, but difficult to practice it’’.

· “যত মত, তত পথ”।

· “সূর্যোদয়ের পূর্বে দধি মন্থন করলে যেমন উত্তম মাখন উঠে থাকে, বেলা হলে কিন্তু আর ভালো মাখন তোলা যায় না; সেইরূপ বাল্যকালে যারা ঈশ্বর অনুরাগী হয় ও সাধন-ভজন করে, তাদের ঈশ্বর লাভ হয়ে থাকে”।

· “যে পথেই যাও, হিন্দু, মুসলমান, খ্রীষ্টান, শাক্ত, ব্রহ্মজ্ঞানী- যে পথেই যাও,… ব্যাকুলতা নিয়েই কথা। তিনি তো অন্তর্যামী, ভুলপথে গিয়ে পড়লেও দোষ নাই- যদি ব্যাকুলতা থাকে। তিনি আবার ভালোপথে তুলে নেন”।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*