প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের খুনের ঘটনায় আবারও চাঞ্চল্যকর তথ্য

গুরগাঁওয়ের রায়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ছাত্র প্রদ্যুম্ন ঠাকুরের খুনের ঘটনায় আবারও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। তদন্ত দ্রুত শেষ করার তাগিদে স্থানীয় পুলিশ ফাঁসিয়ে দেয় সম্পূর্ণ নির্দোষ বাস কন্ডাক্টর অশোক কুমারকে । সিবিআই তদন্তে উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। যদিও অশোকের বিরুদ্ধে প্রদ্যুম্নকে যৌন নিগ্রহ বা খুন করার কোনও প্রমাণ মেলেনি। অশোক কুমার জানিয়েছেন, তাঁর ওপর অত্যাচার চালানো ও প্রকৃত দোষীকে আড়াল করার কারণে হরিয়ানা পুলিশ ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করবেন তিনি। 

প্রদ্যুম্ন হত্যার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অশোক কুমারকে খুনী বলে দাবি করে গুরগাঁও পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজে অশোককে বাথরুম থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। সেই ফুটেজ দেখিয়ে পুলিশের দাবি, বাসের টুলবক্সের মধ্যে থাকা ছুরি সে বাথরুমে পরিষ্কার করছিল, তখনই সেখানে ঢোকে প্রদ্যুম্ন। তাকে যৌন নির্যাতনের চেষ্টা করে সে, তারপর ছুরি দিয়ে গলা কেটে দেয়। কোথা থেকে সেই ছুরি উদ্ধার হল সে ব্যাপারে কিছু বলেনি পুলিশ। ছুরি আসলে উদ্ধার হয় বাথরুমের কমোড থেকে ২ মাসের সিবিআই তদন্তে এটা স্পষ্ট। যে একাদশ শ্রেণির ছাত্রকে প্রদ্যুম্ন হত্যার অভিযুক্ত হিসেবে আটক করা হয়েছে, সে খুনের পর ছুরিটি কমোডে ফেলে দেয়। ফলে অশোক কুমার ছুরি দিয়ে প্রদ্যুম্নর গলা কাটে বলে পুলিশের যে দাবি, তা ভিত্তিহীন। সিবিআই জানিয়েছে, প্রদ্যুম্নের গলা পরপরই অভিযুক্ত ছাত্র বাথরুম ছেড়ে বেরিয়ে যায়। এত অল্প সময়ের মধ্যে গোটা ঘটনা ঘটে যে প্রদ্যুম্ন কোনও বাধাই দিতে পারেনি। স্রেফ পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে ও অভিভাবক-শিক্ষক বৈঠক বন্ধ রাখতেএ এই খুন। কিন্তু পরে সিবিআই জানিয়ে দিয়েছে, অশোক কুমারের বিরুদ্ধে তাদের কোনও অভিযোগ নেই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*