বছরের শেষে মন্দারমনি বিচে

দীঘা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চাউলখোলায় পৌঁছে কেয়া ও ঝাউবনের মাঝখান দিয়ে ১০ কিলোমিটার অনাবিল গ্রাম্য প্রকৃতি ছুঁয়ে কালিন্দী, দাদনপত্রবাড় হয়ে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দারমনির সমুদ্র সৈকতে। বেলাভূমি ধরে জোয়ার ভাঁটার অভিরুচি মানার দিন এখন আর নেই। সোজা বীচের উত্তরদিক ধরে সমান্তরাল রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন মন্দারমনির হোটেলে।

দীঘা থেকে মারুতি অথবা সুমোয় চেপে হাজার টাকার বিনিময়ে ঘুরে আসতে পারেন মন্দারমনি। তবে এখন কলকাতা থেকেই প্রচুর পর্যটক ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বা বাসে চেপে সোজা চাউলখোলা পৌঁছে সেখান থেকে অটো বা ভ্যান রিক্সায় চেপে সোজা চলে যাচ্ছেন মন্দারমনির সমুদ্র সৈকতে। নির্জন জায়গায় শুধুই সমুদ্রের গর্জন আর বিচ জুড়ে সফেন আঁকিবুকি। নিরিবিলিতে সময় কাটানো ও সমুদ্রকে চুটিয়ে উপভোগ করার এ এক অসাধারন স্থান। মন্দারগাছে ঘেরা অপরূপ জায়গা। সন্ধ্যেবেলা চাঁদের আলো বালির উপর পড়ে মনির মতো ঝিকমিক করে। তাই জায়গার নাম মন্দারমনি। বৈচিত্রের অভাব থাকলেও নিরালা, নির্জনে, নিভৃতে সময় কাটানোরজন্য এর থেকে ভালো অপশন আর কিছুই হতে পারে না। দোকানপাঠ খুব বেশী একটা নেই। তবে বিচের উপর খাবারের দাম একটু বেশী। লাল কাঁকড়ার উপস্থিতিতে মন্দারমনির বিচ আরও যেন প্রানবন্ত হয়ে ওঠে।

কীভাবে যাবেন?

এখন মন্দারমনি যাওয়া অনেক সহজ হয়ে গেছে। কলকাতা থেকে দীঘাগামী যেকোনও বাসে চেপে চাউলখোলা। আর সেখান থেকে অটো বা ভ্যান রিক্সা ধরে সোজা মন্দারমনি। ধর্মতলার শহীদ মিনারের কাছ থেকে সারাদিন প্রচুর এসি ও নন এসি বাস পাওয়া যায়। তবে মন্দারমনি এমন একটা জায়গা যেখানে নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে যাওয়ার মজাটাই আলাদা। আর যদি একঢিলে দুই পাখি মারতে চান অর্থাৎ দীঘা ঘুরে মন্দারমনি আসতে চান তাহলে দীঘা থেকে বাসে চেপে রামনগর, আলমপুর হয়ে সোজা চাউলখোলা। কিন্তু মন্দারমনিতে এসে একরাত না কাটালে মজাটা ঠিকমতো উপভোগ করতে পারবেন না।

কোথায় থাকবেন?

মন্দারমনির একদম বিচের উপরেই অনেক ভালো ও অত্যাধুনিক মানের হোটেল আছে। যেমনঃ দেবরাজ বিচ রিসর্ট, সানা বিচ রিসর্ট, সান সিটি রিসর্ট, ভাইসরয়ের মতো কিছু হোটেল রয়েছে। এছাড়াও বিচ থেকে একটু দূরে রাস্তার উপরে কমখরচে প্রচুর হোটেল পা

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*