শহরে ফের কিডনি চক্রের হদিস পেল কলকাতা পুলিশ

কলকাতা, ২৭ নভেম্বর – শহরে ফের কিডনি চক্রের হদিস পেল কলকাতা পুলিশ ৷ ঘটনায় নাম উঠল শহরের একটি বেসরকারী হাসপাতালের নামও ৷ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ৷ তাদের আদালতে তোলা হলে আগামী ৬ই ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয়েছে ৷ অভিযুক্তদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩১৫ গ্রাম হেরোইন ও ভুয়ো আঁধার কার্ড ও ভোটার কার্ড ৷

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান বিশাল গর্গ জানিয়েছেন অন্যতম অভিযুক্ত আসফাক আহমেদ খিদিরপুরের বাসিন্দা ৷ সে কিডনি পাচারচক্রের অন্যতম পাণ্ডা ৷ আসফাকই বাকি তিন অভিযুক্ত তেহেরুন ইসলাম(২৭), বৈদ্যনাথ বর্মন ও জ্যোৎস্না বর্মনকে কলকাতায় নিয়ে আসেন ৷ এরা তিনজনেই উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বাসিন্দা ৷ এদেরকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ ৷ পুলিশ সুত্রে জানা গিয়েছে ২৪ তারিখ এরা হাওড়া-রাজেন্দ্রনগর-পাটনা এক্সপ্রেসে কলকাতায় আসেন ৷ গোপন সুত্রে খবর পেয়ে এদের উপর নজরদারী চালায় পুলিশ ৷ হাওড়া ষ্টেশনে নেমে এরা বাইপাশ ধরে মুকুন্দপুরের একটি বেসরকারী হাসপাতালে যাচ্ছিলেন ৷ এই হাসপাতালে এর আগেও এসেছেন তারা নানান পরীক্ষার জন্য ৷ সেইসময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় ৷

কিডনি পাচারের ঘটনায় ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত টাকা নেওয়া হত বলে জানা গিয়েছে ৷ তবে ডোনাররা পেতেন তিন বা চার লক্ষ টাকার মত ৷ বাকিটা অন্যরা ভাগ করে নিত ৷ এই ঘটনায় হাসপাতাল কতৄপক্ষ ও চিকিৎসকদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷ আসফাককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে এই বছরেই সে বাইপাশের ধারে একটি বেসরকারী হাসপাতালে পাঁচশোটির মত কিডনি এইভাবে বিক্রি করিয়েছে ৷ এই তথ্য খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷

কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান জানিয়েছেন এই সংক্রান্ত বিস্তারিত রিপোর্ট দু-একদিনের মধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছে পাঠানো হবে ৷ তারপর স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশ অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷

 বৈদ্যনাথ বর্মন

আসফাক আহমেদ

তেহেরুল ইসলাম

জ্যোতস্না বর্মন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*