কাশীতে শিব-দর্শন

দেবতাদের মধ্যে শিবকে বিশ্বের শাসনকর্তা (Ruler of the Universe) বলে। এই আদি দেবতার দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের মধ্যে একটি হলো বেনারসের কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। পবিত্র নদী গঙ্গার তীরে অবস্থিত এই মন্দিরে শিব পুজিত হলেন বিশ্বেশং রূপে। এখানে যে শুধু শিব মন্দির আছে তাই নয়, গঙ্গার পশ্চিম তীরে এই অপূর্ব তীর্থক্ষেত্রে বিশ্বনাথ, সারনাথ, দুর্গা, সংকটমোচন, নেপালী, ভারতমাতা, কালভৈরব, তুলসিমানস, ত্রিদেব মন্দির, শনি মন্দির প্রভৃতি দেবতা বিরাজ করেন এখানে। তবে মূলতঃ শিব মন্দির হিসাবেই ক্যাত এই কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। পুণ্যসলিলা গঙ্গার এখানে কতগুলি ঘাট আছে। তার মধ্যে দশাশ্বমেধ ঘাট, মণিকর্ণিকা ঘাট, আসিঘাট, কেদারঘাট, হনুমান ঘাট প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। এই কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে যুগ যুগ ধরে মানুষ আসেন পুণ্য লাভের আশায়। কথায় আছে বার্ধক্যের বারাণসী। আমাদের যে কোনো কাব্য সাহিত্যেও দেখি বৃদ্ধ বৃদ্ধা হলেই লোকে কাশীবাসি হয়। কিন্তু দেবাদিদেব মহাদেব আসলে ভক্ত মাত্রই সংকটমোচন করেন। তাই আবাল বৃদ্ধ বণিতা ছুটে যায় গঙ্গা তীরের এই পুণ্যভূমিতে। এই মন্দিরে বেশ কিছু আরতি হয়। সেগুলি যথাক্রমে হল মঙ্গলা আরতি (ভোর ৩টে থেকে – ৪টে), ভোগ আরতি(বেলা ১১-১৫ থেকে ১২-২০), সন্ধ্যা আরতি (সন্ধ্যে ৭টে থেকে ৮-১৫), শৃঙ্গার আরতি (রাত ৯টা থেকে ১০-১৫), শয়ণ আরতি (রাত ১০-৩০ থেকে ১১-০০) ইত্যাদি।
উত্তরপ্রদেশের বারাণসী যে ধর্মস্থান তাই নয়, শান্তির খোঁজেও বহু মানুষ এখানে আসেন। এছাড়াও এখানকার বেনারসী শাড়ি খুব বিখ্যাত।
কলকাতা থেকে যদি কেউ যেতে চান তাহলে ট্রেনে, বাসে অথবা প্লেনে যেকোনো ভাবেই যাওয়ার বন্দোবস্ত আছে। সময়ও লাগে খুব কম। সুতরাং উইকেন্ডের ছুটি পেলেও ঘুরে আসতে পারেন বেনারস। কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরে দর্শন করতে পারেন জগদীশের।

 

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*