জি ডি বিড়লাতে শিশুনির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ২

বৃহস্পতিবার রানিকুঠীর জি.ডি.বিড়লা স্কুলে অন্যান্য দিনের মতই গিয়েছিল ছোট্ট শিশুটি। বিকেলে যখন বাড়িতে ফিরে আসে, মাকে বলে, যৌনাঙ্গে অসহ্য ব্যাথা। তার মায়ের বক্তব্য যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত বেরোচ্ছিল। শিশুটিকে জিজ্ঞাসা করাতে জানা যায়, তাকে টয়লেটে নিয়ে যায় তার পি.টি. শিক্ষক। তারপর অন্তর্বাস খুলে সোজা আঙুল নিয়ে শিশুটির যোনিপথে প্রবেশ করায়। শিশুটির বাবা মা যাদবপুর থানায় এই পুরো বিষয়টি জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে। রাতে এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয় শিশুটিকে। তার চিকৎসার জন্য তৈরি রয়েছে মেডিক্যাল বোর্ড। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ, স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ, মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে টিমে রাখা হয়েছে। যন্ত্রণা কমার পর শিশুটির কাউন্সেলিং করা হতে পারে। স্কুলের পুরুষ পি টি টিচারের (নাম অভিষেক রায়) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। একজন পিটি শিক্ষকের বিরুদ্ধেই শিশুটিকে নির্যাতনের এইধরনের অভিযোগ উঠে এসেছিল। তবে নির্যাতিতা ছাত্রীর বয়ানে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নিল। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে শিশুটি জানিয়েছে, একজন নয়, দু’জন শিক্ষক মিলে তার উপর যৌন নির্যাতন চালায়। চকোলেটের লোভ দেখিয়ে তাকে শৌচাগারে ডেকে নিয়ে এবং পর্ণোগ্রাফি ভিডিও দেখিয়ে ঐ দুই শিক্ষক নির্যাতন চালায় বলে অভিযোগ শিশুটির। পুলিশ শিশুটিকে ৪টি ছবি দেখায় সেখান থেকে শিশুটি দুজনকে সনাক্ত করে এবং ঐ দুই শিক্ষককে চিনতে পারে।

ঘটনা মোড় অন্যদিকে নেওয়ার পরই স্কুলের দিকে ছুটে গিয়েছেন অভিভাবকরা। বিক্ষোভ আরও জোরদার হচ্ছে। তবে খাস কলকাতার বুকে নামী স্কুলে শিশুর এই পরিণতিতে শঙ্কিত শহরবাসী, অভিভাবকরাও। পুলিশ প্রশাসন আশ্বস্ত করেছেন যে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে যাদবপুর থানায় S.F.I, রাজ্য কংগ্রেস ও রাজ্য বিজেপির সমর্থকরা এই নক্কারজনক ঘটনার শাস্তির দাবি নিয়ে বিক্ষোভ জানায়।

শিশুটি পুলিশের কাছে যে দুজন অপরাধীকে সনাক্ত করেছে এদের মধ্যে একজনের নাম অভিষেক রায় (বাঁদিকে) অন্যজনের নাম মহম্মদ মফিজুদ্দিন  পুলিশ দুজনকেই গ্রেফতার করেছে

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*