ডেঙ্গু মোকাবিলায় সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছে সরকার

পিয়ালি আচার্য : ২৪ অক্টোবর মঙ্গলবার নবান্নে মুখ্যসচিব মলয় দে সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, ডেঙ্গু বা অন্যান্য জ্বর নিয়ে নানান তথ্য অযথা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। রাজ্য সরকার কোনও তথ্য গোপন বা বিকৃতির পক্ষে নয়। আইনানুগভাবে যে সমস্ত তথ্য স্বাস্থ্য দফতরের হাতে আসছে, তা স্বচ্ছতার সঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। কাউকে কোনও কিছু লুকোতে বলা হয়নি সরকারের তরফে।

তবে অযথা প্যানিক ছড়ানো যাবে না। ডেঙ্গুর সেরকম ভাবে চিকিৎসা পদ্ধতি বিশেষ কিছু নেই। কিন্তু ডেঙ্গুর মোকাবিলায় রাজ্য সরকার তৎপর। ডেঙ্গু যাতে না হয় তার জন্য সচেতনতামূলক ব্যবস্থা যেমন নেওয়া হচ্ছে, তেমনি ডেঙ্গু হলে তাকে ‘ম্যানেজ’ করা—এই দুটো বিষয়েই সর্বশক্তি দিয়ে কাজ করছে সরকার। মুখ্যসচিব বলেন, আমরা সজাগ আছি। প্যানিক করার মতো কিছু হয়নি। জ্বর হলে টেস্ট করান, এবং কারওর যদি ডেঙ্গু হয়, তাহলে অবশ্যই লিখতে হবে, এখানে লুকোনোর কিছু নেই। মুখ্যসচিব এও জানান, ডেঙ্গু রোগটি আগে শহরকেন্দ্রিক ছিল, ইদানিং গ্রামেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা যাচ্ছে। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ২৩৮। তার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩৫ জনের (২৩ অক্টোবর বিকাল ৪টে পর্যন্ত)।

এক প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যসচিব বলেন, স্নোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গু এবং এ ধরনের জ্বরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ৫৪। মহারাষ্ট্র, গুজরাট, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কেরালা প্রভৃতি রাজ্যে ডেঙ্গু এবং মশাবাহিত অন্যান্য রোগে মৃতের সংখ্যা এ রাজ্যের তুলনায় অনেক বেশি। মহারাষ্ট্রে ৬৮৫, গুজরাটে ৪৩৪, রাজস্থানে ২৩০, উত্তরপ্রদেশে ১৬৫ জনের মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গু এবং মশাবাহিত অন্যান্য রোগে। এর পাশাপাশি মুখ্যসচিব বলেন, ওয়েদারের খামখেয়ালিপনা কিছুটা হলেও এই রোগ ছড়াচ্ছে। বৃষ্টি কমলেই এই রোগের প্রাদুর্ভাব কমবে। এবারে ডেঙ্গু ২ এবং ৪-এর প্রভাব দেখা গেছে। এর আগে এই ধরনের ডেঙ্গু তেমন দেখা যায়নি, এবার দেখা গেছে। কিছু কিছু ডায়গনস্টিক সেন্টার ও ল্যাবরেটরি র‍্যাপিড টেস্ট করে সাধারণ জ্বরকেও ডেঙ্গু বলে রিপোর্টে লিখে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে এই পদ্ধতি চলে না। এবং এর বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*