বাংলাই এখন শিল্পের গন্তব্য: স্কটল্যান্ডে মুখ্যমন্ত্রী

আজ এডিনবরাতে শিল্প বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে তিনি বাংলায় লগ্নির আহ্বান জানান। তুলে ধরেন রাজ্যের শিল্প সম্ভাবনার নানা দিক।”বাংলাই এখন শিল্পের একমাত্র গন্তব্য”, বৃহস্পতিবার স্কটল্যান্ডের বানিজ্য বৈঠকে উপস্থিত হয়ে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ও মুখ্যসচিব মলয় দে। উপস্থিত ছিলেন সঞ্জীব গোয়েঙ্কা ও সঞ্জয় বুধিয়ার মতো শিল্পপতিরাও। এছাড়াও আগামী জানুয়ারী মাসে হতে চলা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে সমস্ত শিল্পপতিদের বাংলায় আসার আমন্ত্রণ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, বুধবারই রাজ্যে ৫,০০০কোটি টাকা বিনিয়োগের আশ্বাস দিয়েছে মিৎসুবিসি। বিদেশি সংস্থার বিনিয়োগের হাত ধরে রাজ্যে কর্মসংস্থানের পথটাও সুগম করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী বলেনঃ স্কটল্যান্ড ও বাংলার সম্পর্ক বহু পুরোনো। ভারতে যখন ব্রিটিশ রাজ ছিল তখন কলকাতা ছিল তাদের রাজধানী। আপনাদের আহ্বান জানাই, ভবিষ্যতেও বাংলায় আসুন, শিল্প গড়ুন।
বিশ্ব বাংলা বাণিজ্য সম্মেলন ২০১৮ তে আপনাদের সাদর আমন্ত্রণ জানাই। ১৬-১৭ জানুয়ারী হবে এই সম্মেলন। ৩০টিরও বেশি দেশ আসবে এই সম্মেলনে। জাপান আমাদের পার্টনার দেশ।
বাংলায় লগ্নির সম্ভাবনা বিপুল। স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, পর্যটন, জীব বিদ্যা ও গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি সহ নানা ক্ষেত্রে লগ্নি করতে পারেন আপনারা।
বাংলাই এখন শিল্পের গন্তব্য। আমাদের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিপুল। রাজ্যে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতাও রয়েছে। উত্তর-পূর্ব ভারত সহ বাংলাদেশ, নেপাল, ভূটান, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার গেটওয়ে বাংলা।
আমি নিজেই নিজের সরকারের প্রশংসা করবো না। আমাদের ‘ক্যাপ্টেনস অফ ইন্ডাস্ট্রি’রা ইতিমধ্যেই বাংলায় বাণিজ্যের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন।
বাংলায় ৩৪ বছরের বাম অপশাসনের পর রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, প্রশাসনিক, সামাজিক সংস্কারের কাজ হয়েছে। মেয়েদের ক্ষমতায়নের জন্য বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প পেয়েছে রাষ্ট্রসংঘের পাবলিক সার্ভিস পুরস্কার।
সদ্যসমাপ্ত অনুর্ধ্ব ১৭ বিশ্বকাপ ফুটবল জিতেছে ইংল্যান্ড। এই প্রতিযোগিতার কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল ও ফাইনাল খেলা কলকাতায় হয়েছে। আমি নিজে বিজয়ীদের পুরস্কার তুলে দিতে পেরেছি বলে গর্ব বোধ করছি।
বাংলার জিডিপি গ্রোথ ভারতের জাতীয় হারের থেকে বেশি। শিল্প, কৃষি, পরিষেবা – সব ক্ষেত্রেই বাংলার বৃদ্ধির হার জাতীয় হারের চেয়ে বেশি।
এডিনবরা একটি জনপ্রিয় শিক্ষার হাব। আমরা চাই আপনারা বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সাথে কোলাবোরেট করুন। বাংলার মেধা বিশ্ব বিখ্যাত।
বাংলার ল্যান্ড ম্যাপ ও ল্যান্ড ব্যাঙ্ক আছে। আমাদের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প নীতি আছে, বস্ত্রশিল্প নীতি আছে, পর্যটন নীতি আছে। দক্ষতা বিকাশে বাংলা এক নম্বরে। বাংলাই ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*