আজ বেলপাহাড়ীতে মুখ্যমন্ত্রী যা বললেন তা দেখে নিন একনজরে

জঙ্গলমহলের সঙ্গে আমার সম্পর্ক অনেক দিনের। ১৯৯৩ সালে আমি বেলপাহাড়ি থেকেই জনসংযোগ যাত্রা করেছিলাম।আগে একটা সময় ছিল যখন এলাকার আদিবাসী ভাই বোনেরা পিঁপড়ের ডিম খেয়ে জীবনধারণ করতো।আগে জঙ্গলমহলের দিকে কেউ তাকিয়েও দেখত না।আমরা ক্ষমতায় আসার পর আমরা প্রথম জঙ্গলমহলের আদিবাসীদের ২ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া শুরু করেছি।জঙ্গলমহলে আবার শান্তি ফিরে এসেছে। আপনারা ভালো থাকুন, আমার অনেক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।ঝাড়গ্রাম নতুন জেলা তৈরি করা হয়েছে – এটা ঝাড়গ্রামের মানুষের অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল।ঝাড়গ্রামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ও নির্মাণ করা হবে।কন্যাশ্রী প্রকল্পের ভাতা ৭৫0 টাকা থেকে বারিয়ে ১০০০ টাকা করা হয়েছে। কৃষকদের পেনশন বৃদ্ধি করা হয়েছে।কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের আনা হয়েছে।অভাবী কৃষকদের রক্ষার্থে আমরা ১০০ কোটি টাকার একটি বিশেষ তহবিল তৈরি করেছি।কেন্দু পাতা সংগ্রহকারীদের জন্য পেনশন প্রকল্প চালু করা হয়েছে।মেয়েরা আমাদের সম্পদ, আমাদের মর্যাদা। গরীব পরিবারের মেয়েদের বিবাহের খরচ বাবদ আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে সেজন্য আমরা নতুন প্রকল্প ‘রূপশ্রী’ চালু করেছি।প্রায় ১.৯ লক্ষ লোক শিল্পীদের প্রত্যেক মাসে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে এবং তারা সরকারী অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের সুযোগ পাচ্ছেন।জঙ্গলমহলে যারা ভালো খেলাধুলো করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তাদের সিভিক পুলিশে চাকরি দেওয়া হবে।আমরা জল তীর্থ প্রকল্প চালু করেছি, এর জন্য ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।জঙ্গলমহলে আমরা ইকো – ট্যুরিজম প্রকল্প চালু করেছি।কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার করে রিকুয়েস্ট করেছি কুর্মি কমিউনিটিকে তাড়াতাড়ি শিডিউল্ড ট্রাইব লিস্টে ঢোকানোর জন্য।কুরুক ভাষার বিল পাস হয়ে গেছে, কুরমালি ভাষারও আমরা বিল আনছি।অলচিকি ভাষায় ইতিমধ্যে ডিক্সনারিও করা হয়েছে।আমরা প্রায় ২৫ লক্ষ পরিবারকে বাড়ি তৈরী করে দিয়েছি। নতুন আরও ১৩০০০ কিঃমিঃ রাস্তা তৈরীর ব্যবস্থা করে দিয়ে এলাম।আমি চিঠি লিখেছি এফআরডিআই বিল উইথড্র করতে। আমরা বিজেপিকে বলেছি এই বিল উইথড্র কর।কি হয়েছে পাঞ্জাব ন্যাশানাল ব্যাঙ্কে? ১১০০০ কোটি টাকার কেলেঙ্কারি। জনগণের টাকা কে খেল? এই সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত করতে হবে।মানুষ ভালো আছে, শান্তিতে আছে, এটা ওদের সহ্য হয় না, জঙ্গলমহলেও আগুন লাগানোর চেষ্টা করবে, একদম শুনবেন না।জঙ্গলমহলের উন্নয়ন যেন থেমে না যায়। আপনাদের কাছে এই আবেদন থাকল।৯০% মানুষের কাছে আমাদের সরকারের কোনও না কোনও পরিষেবা পৌঁছে যায়। মা মাটি মানুষের সরকার এটাই।৬ বছরে প্রায় ৮১ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি, এ বছরেও ১০ লক্ষ কর্মসংস্থান হবে।গ্রামীণ কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ভারতবর্ষে আমরা নাম্বার ওয়ান।কেন্দ্র আইসিডিএস, আশার টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। আমরা এত অসুবিধের মধ্যেও সব প্রকল্প নিজের টাকায় চালিয়ে যাচ্ছি, মাইনেও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।আমাদের সরকার সবসময় মানুষের পাশে থাকে, আমার নিজস্ব কোনও অ্যাজেন্ডা নেই, আমার জীবন সংগ্রামী জীবন, যতদিন বাঁচব, মানুষের জন্য কাজ করব।

ছবি সৌজন্যেঃ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসিয়াল ফেসবুক

 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*