ক্যাশলেস অর্থনীতি

গত বছরের ৮ নভেম্বর এক হাজার ও পাঁচশো টাকার নোট বাতিল করা হয়েছিল। বাতিলের পক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তিনটি কারণ বলেছিলেন। তৃতীয় কারণটি ছিল দেশে ক্যাশলেস অর্থনীতি চালু করা। সেটা করতে গিয়ে বহু জায়গায় কর্মী ছাঁটাই হচ্ছে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগও কমছে। সেপ্টেম্বর মাসেই ইয়েস ব্যাঙ্ক ২,৫০০ জনকে ছাঁটাই করেছে। এইচডিএফসি ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত ১১,০০০ জনকে ছাঁটাই করেছে। এদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অবস্থাও তেমনি। আপনার বাড়ির কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের যে শাখা আছে, সেখানে গেলে দেখবেন কর্মী নেই। দু-বছর আগে যে শাখায় ১৫ জন কাজ করতেন, এখন সেখানে ৭-৮ জন কাজ করছেন। পাশবই আপডেট করাতে গেলে কর্মীরা বলছেন, এখন হবে না, কাজের চাপ আছে। টাকা তুলতে গেলে বলছেন, এটিএমে তুলুন। এই ব্যাঙ্ক অর্থনীতি কতটা চাঙা হচ্ছে তা ভবিষ্যতই বলবে। তবে ব্যাঙ্কের কর্মচারী সংখ্যা কমছে ক্যাশলেস ইকোনমির দোহাই দিয়ে। ১৯৬৯ সালের ১৯ জুলাই এবং পরে ১৯৮০ সালের মার্চ মাসে তদানিন্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী যে ব্যাঙ্ক জাতীয়করণ করেছিলেন, তার অন্যতম লক্ষ্য ছিল কর্মসংস্থান। সত্যি কথা বলতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের বহু নতুন শাখা খোলা হয়েছিল। যুবক-যুবতীরা চাকরি পেয়েছিলেন। ডিজিটাইজেশনের জন্য ব্যাঙ্ক কর্মীর সংখ্যা এখন অনেক কমে গেছে। ব্যাঙ্কের গ্রাহকরা তেমন পরিষেবা পাচ্ছেন না। আবার বেকারের সংখ্যাও বাড়ছে। কোথায় চলেছি আমরা!

দেবাশিস ভট্টাচার্য

সম্পাদক

৩০.০৯.২০১৭

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*