ব্রিজগুলোর রক্ষণাবেক্ষণে বিশেষ জোর রাজ্য সরকারের

পোস্তায় নির্মীয়মাণ ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই অন্যান্য ব্রিজের রক্ষণাবেক্ষণের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই দুটি বড় ব্রিজ “মা” ও বাগুইহাটি ব্রিজের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। উল্লেখ্য বিশ্ব বঙ্গ সম্মেলনের জন্য এয়ারপোর্ট থেকে নবান্ন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্রিজ ও রাস্তার দুইধারে সৌন্দর্য্য বাড়ানোর কাজ চলছে। সেইমত মা উড়ালপুলের উপর বড় বড় মাটির টব বসানো হয়েছিল। কিন্তু নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সেগুলি স্থানান্তরিত করে ছোট টব বসানো হয়েছে। সূত্রের খবর অত বড় বড় টব ব্রিজের উপর সবসময় বসানো থাকলে তা ব্রিজের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে এবং তা খুবই বিপজ্জনক এবং সেই কারনেই এই সিদ্ধান্ত। বিশেষজ্ঞের মতে এমনিতেই সারাদিন ব্যস্ততম এই উড়ালপুলে গাড়ির চাপ থাকে তার উপর যদি এই ভারি টব গুলি রাখা হয় তা অতিরিক্ত ওজন হবে।

বিপর্যয়ের প্রায় দু’বছর হতে চলল। কেন সেদিন ভেঙে পড়েছিল গিরিশপার্ক থেকে পোস্তাগামী উড়ালপুলের বাঁ দিকের অংশ? শুধু তাই নয়, ত্রুটি কেবল ভেঙে পড়া অংশেই নয় ছড়িয়ে রয়েছে গোটা উড়ালপুলেই।

পোস্তা উড়ালপুলের হাল বেহাল। দুর্বল হয়ে পড়েছে কংক্রিট। অবিলম্বে মেরামত না করলে যে কোনোদিন ভেঙে পড়তে পারে বাকি অংশও। নবান্নে রিপোর্ট জমা দিল বিশেষজ্ঞ কমিটি। প্রসঙ্গত, ঘটনার পর রাজ্য সরকার উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে বিশেষ তদন্ত কমিটি গঠন করে। এই কমিটিতে ছিলেন তৎকালীন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং খড়গপুর আইআইটি-র তিন অধ্যাপক।

ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইস্পাতের কাঠামোতে কোনও সমস্যা না থাকলেও, ওপরের কংক্রিটের কাঠামো যথেষ্ট দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই পোস্তা উড়ালপুল গোটাটাই ভেঙে ফেলে নতুন করে গড়ে তোলার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে। পুলে এমনই ত্রুটি রয়েছে, যা পুরোপুরি মেরামত করে যান চলাচলের উপযুক্ত করে তোলা সম্ভব নয়। এই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে উড়ালপুলের বর্তমান পরিস্থিতি এমন যে তার নীচ দিয়ে গাড়ি চালানোও নিরাপদ নয়।

ফাইল ছবি

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*