দুই দেশের বন্ধন আরও সুদৃঢ় করতে চালু হল বন্ধন এক্সপ্রেস

বৃহস্পতিবার ৯ই নভেম্বর, ২০১৭ বেলা ১১টায় বন্ধন এক্সপ্রেসের শুভ সূচনা হলো। ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের বন্ধন আরো সুদৃঢ় করলো এই বন্ধন এক্সপ্রেস। একযোগে উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই উদ্বোধনের পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, এটি একটি ঐতিহাসিক দিন, স্মরণীয় দিন। ভারত বাংলাদেশের মধ্যে মৈত্রী, ঐক্য, সম্প্রীতি, সংহতি ও ভাষার বন্ধন আরো ঐক্যবদ্ধ হোক। আরও দৃঢ় হোক এই কামনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী বাংলাদেশকে পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের অন্যতম প্রিয় বন্ধু উল্লেখ করেন। বলেন, এই রেলওয়ে পরিষেবা আমাদের দু’দেশের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে। তিনি, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ধন্যবাদ জানান।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের দীর্ঘকাল স্বপ্নপূরণ হলো। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রেল-পরিষেবা। কলকাতা এবং খুলনার মধ্যে যাতায়াতের সময় বাঁচবে এবং আরামদায়ক ভ্রমণের সহায়ক হবে। মৈত্রী ও বন্ধন এক্সপ্রেসের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন তিনি। বলেন, এতে দু’দেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় হবে। শুধু রেলের বন্ধন নয়, দু’দেশের জনগনের মধ্যে বন্ধনের সহায়ক হবে এবং দু’দেশের মধ্যে আর্থ-সামাজিক বন্ধনে সাহায্য করবে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে বাংলায় দুই দেশকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, দুই দেশের মধ্যে মৈত্রী ও বন্ধন সুদৃঢ় হলো। এরপর হিন্দিতে বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে প্রতিবেশীসুলভ আচরণ থাকা উচিত। প্রটোকলের বন্ধনে আটকে থাকা উচিত নয়। মাত্র তিন ঘন্টার বন্ধন এক্সপ্রেসের মাধ্যমে কলকাতা থেকে খুলনা যাওয়া যাবে। আমাদের ভিশন কি সেটা এই মৈত্রী ও বন্ধন নামকরণের মাধ্যমেই বোঝা যায়। দু’টি দেশের মধ্যে সুদীর্ঘকালীন ঐতিহাসিক সম্পর্ক বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হবে। বিকাশ ও সমৃদ্ধিতে দুই দেশের মানুষ নতুন আকাশ ছুঁতে সফল হবে।

আজ কলকাতা স্টেশনে আন্তর্জাতিক রেল প্যাসেঞ্জার টার্মিনাস এর শুভ সুচনা হলো। এছাড়াও মৈত্রী ও বন্ধনের যাত্রীদের জন্য উভয়প্রান্তে অভিবাসন ও শুল্ক বিভাগের ছাড়পত্রের সুবিধা চালু হলো।

এদিন বাংলাদেশে দ্বিতীয় ভৈরব ও তিতাস রেলওয়ে ব্রিজেরও উদ্বোধন হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*