বিলের ডায়েরি

পিয়ালি আচার্য

এ ছবির নায়ক অনাবিল। অনাবিল থেকে বিলে। ছোট্ট বিলের হস্টেল লাইফ, সেখান থেকে বড় হওয়া- এক উত্তরণের কাহিনী। ছবিতে আছে ভালো-মন্দ, সাদা-কালোর লড়াই। তবে শেষ পর্যন্ত জয়ী জাগ্রত সত্য-শিব-সুন্দরের।

নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশনে শ্যুটিং হয়েছ ছবিটির। ক্ষুদে শিল্পীদের কলতানে মাতোয়ারা পুরো ছবি। পরিচালক বিশ্বরূপ বিশ্বাসের এ এক অনবদ্য প্রয়াস। ছোট ছোট ছেলেদের নিয়ে জীবনের মূল্যবোধের, পরম্পরার এত ভালো ছবি সাম্প্রতিক কালে দেখা যায়নি। অনাবিল যেন সারা ছবি জুড়ে ছড়িয়ে দেয় এক অনাবিল আনন্দ। আর তাঁকে আলো দেখায় তার কানু স্যার। গুরু শিষ্য পরম্পরা, গুরুকুলে বেড়ে ওঠার সদর্থক দিকের পাশাপাশি এ ছবি বলে সংশোধনের কথা। কীভাবে ছোট্ট বিলে তার বিপক্ষের সব সহপাঠীদের মধ্যে থেকেও তাদের বিবেক জাগ্রত করতে পারলো এ ছবি সেকথাই বলে। ছবি শেষ হয় রিইউনিয়ন, এককথায় সবার মিলনের মধ্যে দিয়ে।

বানিজ্যিক ভাবে ১ ডিসেম্বর ২০১৭ মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। তার আগে কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ছবিটি। আড়াই ঘন্টারও বেশী সময় ধরে চললেও কখনও এতটুকু একঘেঁয়ে লাগেনি। টানটান ছবিটি যেন বয়ে চলে আপন গতিতে। ছবিটিতে অভিনয় করেন সমদর্শী (অনাবিল,বড় অবস্থা), বিশ্বনাথ বসু (কানু মহারাজ), সঙ্গীত পরিচালনায় রাজা নারায়ন দেব। সিনেমাটোগ্রাফার সুপ্রিয় দত্ত এবং ছবিটির সম্পাদনা করেছেন সুশান্ত চক্রবর্তী। তবে সবচেয়ে বেশী নজর কাড়ে ছোট্ট বিলে। অনান্য শিশুশিল্পীদের অভিনয় ও মনে রাখার মতো।

 

 

 

আর আজ আর এক বিলে- বিবেকানন্দের জন্মদিন। অনাবিলের সঙ্গে বিবেকানন্দের মিল শুধু ডাক নামেই নয়, দুজনেই প্রায় একইভাবে সমাজ পরিবর্তনের- চেতনার পথ দেখান। তাই এ ছবির আজকের দিনে প্রাসঙ্গিকতা এখানেই। বিবেকানন্দের জন্মদিনে এভাবেই তাঁকে আমরা শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই। তিনি যে চরিত্র গঠনের কথা বলেছিলেন তারই মূর্ত প্রতীক অনাবিল। তাই বিলের ডায়েরি ছবির বক্তব্য স্পষ্ট, গঠনে আছে মুন্সিয়ানা- প্রয়াস প্রশংসনীয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*