বিহারে জেডিইউ-কে ছাড়াই ভোটে লড়ার পরিকল্পনা বিজেপির

সোমা মুখার্জি : নীতীশ কুমার লালু-সঙ্গ ছাড়ার প্রায় ৮০ দিন পরে বিহার রাজ্যে প্রকাশ্য জনসভায় দেখা মিলল প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সাথে সাথে প্রায় ৩,৭৬৯ কোটি টাকার একগুচ্ছ প্রকল্প ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী সড়ক যোজনা তার মধ্যে অন্যতম প্রকল্প। গত ২৬ আগস্ট বন্যাপীড়িতদের দেখতে অবশ্য এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদী ২০১৭-র ৫ জানুয়ারি যখন বিহারে আসেন তখন অবশ্য পাকাপাকি বন্ধুত্ব ছিল না প্রধানমন্ত্রী ও নীতীশ কুমারের সঙ্গে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদেরর জোট সরকারে ছিল। লালু-নীতীশের জোট সরকার ভেঙে এখন বিজেপি-নীতিশের জোট সরকার। বিজেপির তরফ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদী।

নাটকীয়ভাবে আরজেডি এবং জেডিইউ-র জোট ভেঙে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জেডিইউ ও বিজেপির জোট সরকার গঠন হয়েছিল। তখনই জনতার কাছে নীতীশের প্রতিশ্রুতি ছিল বিহারের উন্নতি ও প্রগতি। ৮০ দিনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর সমঝোতার সম্পর্ক থাকলেও জনসমক্ষে বন্ধুত্বের উদাহরণ তৈরি করাটা খুবই দরকার ছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জাতীয় সড়কের প্রতিশ্রুতি, সঙ্গে গ্রামীণ বিকাশের প্রকল্পের আবদার পূর্ণ হওয়া, রাজ্য ও কেন্দ্র তথা জেডিইউ ও বিজেপি-র মহাজোটে সিলমোহর হয়ে থাকল।

প্রধানমন্ত্রী শনিবার গ্রামীণ অঞ্চলের প্রতিটি ঘরে বিনা পয়সায় বিদ্যুৎ পৌঁছে দেবার প্রতিশ্রুতি দেন। সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতকে প্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবার আশ্বাস দেন।

বিহারের নীতীশ-মোদীর একসঙ্গে একমঞ্চে আসাটা খুবই দরকার ছিল। রাজনৈতিক মহল আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল, নীতীশ কুমার কতটা সফল হবে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে। কারণ, বিকাশের দিক থেকে বিহার এখনও ২৫ বছর পিছিয়ে আছে। সেখানে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের আশ্বাস ও সাহায্য জনসমক্ষে এককথায় নীতীশ কুমামরের প্রেস্টিজ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

এই মাসের শেষে অথবা নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-র বিহারে আসার কথা। বিহারের রাজনৈতিক মহলে অবশ্য জোর খবর বিজেপি দলকে মজবুত করতেই শাহ-র বিহার আগমন। ভবিষ্যতে জেডিইউ-র সাহায্য ছাড়াই যাতে ভোটে লড়তে পারে, সেই প্রচেষ্টায় আছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। সেক্ষেত্রে আরজেডি ও জেডিইউর নেতা-মন্ত্রীদের কাছে দল বদলের প্রস্তাব আছে বলে খবর রাজনৈতিক মহলে। ছবি- ফেসবুক

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*