আজকের দিন

পাপিয়া ঘোষ

জন্মদিন : ৮ অক্টোবর ১৯৫৩, স্থান- দুমকা

বিশিষ্ট এই ঐতিহাসিক পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ এশিয়ান হিস্ট্রি বিভাগে অধ্যাপিকা ছিলেন। বাবা ঊজ্জ্বল কুমার ঘোষ ছিলেন বিহারের ক্যাডারের আইপিএস অফিসার। ১৯৫৭ সালে বিহারে রাজনৈতিক হত্যার শিকার হন উজ্জ্বলবাবু। তাঁর মা পূর্ণিমাদেবী স্কুলে শিক্ষকতা করে তাঁর চার কন্যাকে মানুষ করেন। পাপিয়ার এক দিদি বেঙ্গল ক্যাডারের আইএএস। পাটনার সেন্ট জোসেফ কনভেন্ট স্কুল থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে বিদ্যালয় শিক্ষা শেষ করেন পাপিয়া। বিতর্ক, কবিতা লেখা-সহ সমস্ত বিষয়ের তিনি ছিলেন পারদর্শী। তিনি উইমেন্ট কলেজে পড়াশোনা করেন। এইসময় জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলন এত তিব্রতর ছিল আন্দোলন যে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকে। তখন তিনি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় এমফিল ও পিএইচডি করেন। ইতিহাসের বিভিন্ন দিকে গবেষণায় সাফল্যের জন্য তিনি বহু সম্মান ও স্বীকৃতি পেয়েছেন। পরে তিনি মা ও মাটির টানে পাটনা ফিরে এসে পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন এবং ছাত্রদের মধ্যে ভীষণ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ২-৩ ডিসেম্বর ২০০৬ সালে অর্থাৎ মধ্যরাতে তিনি যখন তাঁর বয়স্কা গৃহকর্মী মালতীদেবীর সঙ্গে ফিরছিলেন, তখন তাঁদের দু-জনে হত্যা করা হয়। পাপিয়াদেবীর শরীরে ৩৪ বার ছুরির আঘাত করা হয়। দু-জনকেই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। আজ তাঁর জন্মদিন, পাপিয়া ঘোষকে রোজদিন জানাচ্ছে শ্রদ্ধা।

রাজকুমার

জন্মদিন : ৮ অক্টোবর ১৯২৬ স্থান- বালুচিস্তান

বিশিষ্ট হিন্দি চলচ্চিত্রের অভিনেতা রাজকুমারের আসল নাম ছিল কূলভুষণ পণ্ডিত। মুম্বাই পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর হিসেবে ৪০-এর দশকের শেষের দিকে তিনি তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৫২ সালে রঙ্গিলি ছবি দিয়ে তিনি তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। তারপর আবসার, ঘমণ্ড, লাখো মে এক ইত্যাদি ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তবে বিখ্যাত হন ১৯৫৭ সালে মাদার ইন্ডিয়া ছবিতে নার্গিসের স্বামীর ভূমিকায় অভিনয় করেন। সিনেমাটি অস্কারের জন্য মনোনীত হয়। সুনীল দত্ত, শশী কাপুর, বলরাজ সাহানি প্রমুখ অভিনেতাদের সঙ্গে ওয়াক্ত ছবিতে অভিনয় করলেও তাঁর নিজস্ব অভিনয়ের স্টাইলের জন্য দর্শক তাঁকে আলাদাভাবে মনে করেছিল। তাঁর অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ছবিগুলি হলো হামরাজ (১৯৬৭), হীররনঝা (১৯৭১), মর্যাদা (১৯৭১), লালপাথর (১৯৭১) পাকিজা (১৯৭২) প্রভৃতি ছবিগুলি। এরপর তাঁর বেশ কিছু ছবি ফ্লপও হয়। তারপর আবার সাফল্য ফিরে পান খুদরত, এক নয়ি পহেলি, মরতে দম তক, জঙ্গবাজ প্রভৃতি ছবিতে। এগুলি সবই আশির দশকের ছবি। ১৯৯১ সালে দিলীপকুমারের সঙ্গে মিলে সওদাগর ছবিতে অভিনয় করেন তিনি। তারপর ১৯৯২ সালে বিখ্যাত ছবি তেরঙ্গার জন্য দর্শক মনে রেখেছে। তাঁর শেষ ছবি হলো ১৯৯৫ সালে গড অ্যান্ড গান। ১৯৯৬ সালের ৩ জুলাই তিনি শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন। জন্মদিনে রোজদিন-এর শ্রদ্ধা।

 

গৌরী খান

জন্মদিন : ৮ অক্টোবর ১৯৭০ স্থান-নিউ দিল্লি

বলিউডের বাদশা শাহরুখ খানের সহধর্মিনী গৌরী খান-এর জন্ম দিন আজ। তিনি চলচ্চিত্র প্রযোজক এবং একজন বিখ্যাত ইন্টিরেয়র ডিজাইনার। তাছাড়াও রেড চিলি-র এন্টারমেন্ট প্রোডাকশন হাউসের অন্যতম কর্ণধার। লরটো কনভেন্ট স্কুল থেকে পড়াশোনা শেষ করেন টেন পর্যন্ত। তারপর দিল্লি মডার্ন স্কুলে ১২ ক্লাস পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে বিএ পাশ করেন। তাঁর এনআইএসটি থেকে ফ্যাশন ডিজাইন নিয়ে কোর্স করেন। পাশাপাশি বাবার কাপড়ের ব্যবসা থাকার সূত্রে টেলারিং-এর কাজও শিখে নেন। শাহরুখ খানের সঙ্গে তাঁর দেখা হয় ১৯৮৪ সালে। পরবর্তীতে ২৫ অক্টোবর ১৯৯১ তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর তিন সন্তান— আরিয়ান, সুহানা, আব্রাম খান।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*