আজকের দিন

আজ ৪ অক্টোবর ২০১৭ এই বিভাগের ২য় লেখা প্রকাশিত হচ্ছে।

 

সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়

জন্মদিন : ৪ অক্টোবর ১৯৩১, স্থান- কলকাতা

‘এ শুধু গানের দিন এ লগনও গান শোনাবার’— ভুবন ভোলানো কণ্ঠ তাঁর। তিনি গীতশ্রী সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়। আজকের দিনেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন। রাজ্য সরকারের বঙ্গবিভূষণ পুরস্কার, প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড—এই রকম কত পুরস্কার তিনি তাঁর ৮৬ বছরের জীবনে পেয়েছেন তার তালিকা দিয়ে শেষ করা যাবে না। প্রফেসর এ টি কানন, পণ্ডিত সন্তোষকুমার বসু এবং চিন্ময় লাহিড়ির অধীনে তাঁর প্রথম সংগীত শিক্ষা শুরু হয়। তবে তাঁর শিক্ষকদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ওস্তাদ বড়ে গোলাম আলি খাঁ এবং পরবর্তী বড়ে গোলাম পুত্র ওস্তাদ মুনাব্বর আলি খাঁ। তাঁর শাস্ত্রীয় সংগীতের শিক্ষা এই দুই প্রথিতযশা শিল্পীর তত্ত্বাবধানে হয়েছিল। তাই বাংলা আধুনিক গানে তিনি দিকপাল হওয়া সত্ত্বেও তাঁর গানের মধ্যে পাওয়া যেত ক্লাসিক্যাল টাচ। বহু বাংলা ছবিতে প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে গান গেয়েছেন। অবশ্য শুধু বাংলা কেন বহু হিন্দি ছবিতেও প্লেব্যাক সিঙ্গার ছিলেন। মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে ‘আনজান গড়’ ছবিতে গান গেয়েছেন তিনি। স্বামী কবি শ্যামল গুপ্ত তাঁর বহু গানের গীতিকার ছিলেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ডুয়েট গানগুলি আজও অমর হয়ে আছে। সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়কে রোজদিন জানায় জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

 

সোহা আলি খান

জন্মদিন : ৪ অক্টোবর ১৯৭৮, স্থান- নিউ দিল্লি

ক্রিকেটার নবাব মনসুর আলি খান পতৌদি ও অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুরের কন্যা সোহা আজকের দিনটিতেই জন্মগ্রহণ করেন। অবশ্য শুধু বাবা-মা-র পরিচয়েই তিনি পরিচিত নন। চলচ্চিত্র জগতে নিজের কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে দর্শক-সমালোচকদের সম্মান আদায় করে নিতে তিনি সক্ষম হয়েছেন। নিউ দিল্লি ও লন্ডনে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০০৪ সালে বাংলা ছবি ‘ইতি শ্রীকান্ত’-তে কমললতা চরিত্রে তাঁর প্রথম আত্মপ্রকাশ। একই বছরে করেন হিন্দি ছবি ‘দিল মাঙ্গে মোর’। পরের বছর করেন ‘প্যায়ার মে টুইস্ট’, ‘শাদি নং ওয়ান’, ‘অন্তরমহল’। তবে তাঁর কেরিয়ারে ব্রেক আসে ২০০৬ সালে ‘রং দে বসন্তি’ ছবিটি করার পর। এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সোহাকে। একের পর হিট ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন। অভিনেতা কুণাল খেমুর সঙ্গে ২০১৫ তাঁর বিয়ে হয়। আর ২০১৭-র ২৯ সেপ্টেম্বর ‘নাওমী’ নামে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। অভিনেত্রী ও নতুন মা সোহা-কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা।

 

ক্যাপ্টেন বাবা হরভজন সিং

মৃত্যুদিন : ৪ অক্টোবর ১৯৬৮

সিকিম বেড়াতে গিয়ে চিন সীমান্তের কাছে নাথুলা পাসে গেলে বাবা মন্দির ছুঁয়ে যান সবাই। কিন্তু কে এই বাবা। তিনি হলেন ইন্ডিয়ান আর্মির ক্যাপ্টেন বাবা হরভজন সিং। ১৯৪১ সালের ৩ আগস্ট পাঞ্জাবে জন্ম। তাঁকে বলা হয় হিরো অব নাথুলা। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাক যুদ্ধের সময় তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন। ১৯৬৮ সালে ৪ অক্টোবর তাঁর মৃত্যু হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*