রাজস্থানে নিহত আফরাজুলের পরিবারকে অর্থ সাহায্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের, প্রতিবাদ মিছিল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের

মালদার শ্রমিক মহম্মদ আফরাজুলের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ বিকেল ৫টায় হাজরা থেকে গাঁধী মূর্তির পাদদেশ পর্যন্ত প্রতিবাদ মিছিল করল তৃণমূল যুব কংগ্রেস। এই মিছিলে নেতৃত্ব দেন সর্বভারতীয় তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এছাড়াও ছিলেন সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদক ও রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুব্রত বক্সি, তৃণমূল নেতা অলোক দাস সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দও। ঐ পরিবারকে এক লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে বলে জানান মালদা জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ মণ্ডল।

আজ রাতেই তৃণমূলের সংসদীয় দল রওনা দিচ্ছে মালদায়। দলে থাকছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার এবং সৌগত রায়। আজ মালদার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী ববি হাকিম এবং শুভেন্দু অধিকারীও।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় এক নৃশংস্য খুনের ভিডিও। ভিডিওতে দেখা যায় বছর পঞ্চাশের মহম্মদ আফরাজুলকে বেধড়ক মারধর করছে লাল জামা, সাদা প্যান্ট পরিহিত শম্ভুলাল রেজার। প্রথমে কুপিয়ে ও পরে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে মারা হয় তাঁকে। হত্যালীলার পর আক্রমণকারীকে বলতে শোনা যায়, ভিন ধর্মের মেয়েকে বিয়ে করায় তাঁকে ;উচিত শিক্ষা’ দেওয়া হল।

জানা গিয়াছে, আক্রান্ত মহম্মদ আফরাজুল কর্মসূত্রে দীর্ঘদিন রাজস্থান প্রবাসী। সেখানেই মিনা রানি নামে জনৈক মহিলার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। মিনা দেবীকে বিয়ে করের আফরাজুল। ভিন ধর্মে বিয়ের ‘অপরাধ’ এ আফরাজুলকে ‘শাস্তি’ দেয় শম্ভুলাল রেজার। অন্তত এমনটাই দাবি হত্যাকারীর। যদিও এই অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন আফরাজুলের স্ত্রী ও কন্যা। সূত্রের খবর, ব্যবসায়িক বা ব্যক্তিগত হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে। ইতিম্যেই অভিযুক্ত শম্ভুলাল রেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*