চাকরির জন্য শ্বশুরবাড়ির চাপ, গৃহবধূর আত্মহত্যা গড়িয়ায়

উত্তরপাড়ার ছায়া গড়িয়ায়। ফের এক সদ্য বিবাহিতার অস্বাভাবিক মৃত্যু। গড়িয়ার সারদা পার্কের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে ২৭ বছরের অনন্যা সাইয়ের দেহ। তাঁর স্বামী অর্ণব সাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জানা যায় ৮ মাস আগে অনন্যার বিয়ে হয় গড়িয়ার বোসপাড়ার বাসিন্দা অর্ণব সাইয়ের সঙ্গে। বিয়ের পর তারা গড়িয়ায় থাকতেন। গতকাল সকাল সাড়ে নটা নাগাদ ঘর থেকে উদ্ধার হয় অনন্যার দেহ। ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তাতে লেখা, স্বামী তাঁর ওপর চাকরি করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। চাকরি না মেলায় অযোগ্য বলে রোজ অপমান করা হত, ফলে তিনি আর সহ্য করতে পারছিলেন না। অর্ণব এমনও বলে দেন, যে যতদিন না অনন্যা চাকরি পাচ্ছেন, ততদিন তাঁদের বাচ্চা হবে না। উত্তরপাড়ার মেয়ে পারমিতা বক্সী অক্টোবরের শেষে ঠিক এই কারণেই আত্মহত্যা করেন। তাঁর স্বামী থাকতেন বেঙ্গালুরুতে। চাকরিসূত্রে পুনেয় থাকা পারমিতা আর চাকরি করতে অনিচ্ছুক হলেও কোনওমতেই তাঁকে কাজ ছাড়তে দেওয়া হচ্ছিল না। উল্টে মাইনের পুরো টাকা তাঁকে তুলে দিতে হত শ্বশুরবাড়ির হাতে। মানসিক চাপে তিনিও বেছে নেন আত্মহত্যার পথ। অনন্যার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে অর্ণবকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এম আর বাঙুর হাসপাতালে। অনন্যার পরিবারের দাবি দীর্ঘ দিন ধরে অনন্যার উপর অত্যাচার চালানো হচ্ছিল। তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল চাকরি করার জন্য। চাকরি না করলে বাপের বাড়ি থেকে টাকা এনে দেওয়ার দাবিতেও তাঁর ওপর অত্যাচার চলত।

ধৃত অর্ণব সাইকে আজ আদালতে তোলা হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*