কলেজে কলেজে উন্নয়ন

(সুরেন্দ্রনাথ ল’ কলেজ)

ছাত্রানাং অধ্যয়নম্‌ তপঃ অর্থাৎ অধ্যয়নই ছাত্রদের তপস্যা। আর অধ্যয়ন কেবল পুস্তকগতই নয়, পুস্তকগত বিদ্যা অধ্যয়নের সঙ্গে সঙ্গে তারা অন্যান্য বিষয়ে বিশেষ করে একজন সচেতন নাগরিক হতে গিয়ে যে যে জ্ঞান অর্জন দরকার তাও আহরণ করবে।

পড়াশোনা অবশ্যই একজন ছাত্রের প্রথম অগ্রাধিকার, তবে তার সাথে সাথে তাদের ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন চাহিদা- সমস্যাগুলোকে কর্তৃপক্ষের কাছে তুলে ধরে তাদের শিক্ষাঙ্গণকে আরও সুন্দর করে তুলে ধরাটাও তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সেই উদ্দেশ্যে প্রতিটি কলেজেই তৈরী হয় একটি ছাত্রসংসদ। রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বারবার বলেছেন ছাত্রসংসদ গুলোকে কেবলমাত্র রাজনৈতিক আখড়া নয়, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যলয়ের শিক্ষা ও পরিকাঠামোগত উন্নয়নে কর্তৃপক্ষকে সাধ্যমত সাহায্য করবে।

রোজদিন কলেজে কলেজে ছাত্রসংসদের প্রতিনিধিদের কাছ থেকে নিয়েছে একান্ত সাক্ষাৎকার। তাদের থেকে জেনেছে সেই কলেজের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে। আজ আমরা যোগযোগ করেছিলাম কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজের ছাত্রসংসদের প্রতিনিধির সাথে।

সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজের ছাত্রসংসদের সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ আইচ জানায়, ২০১১ সালের পর বাংলা জুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন হয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রেও তার ছাপ সুস্পষ্ট। কলেজ কর্তৃপক্ষ আর কলেজের পরিচালণ সমিতির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তা সম্ভব হয়েছে। সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজে ফিরে এসেছে পড়াশুনার পরিবেশ। পাশাপাশি নিয়মিত ক্লাস, লাইব্রেরীতে পর্যাপ্ত পরিমাণ বই এবং সবগুলোই নতুন সংস্করণ। বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে তৈরী হয়েছে একটি সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অডিটোরিয়াম। কলেজের যেকোনো অনুষ্ঠানে যা ব্যবহৃত হয়। এই অডিটোরিয়ামে বিভিন্ন রকমারী আলোর বিশেষ ব্যবস্থা আছে। বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ব্যবহৃত ল্যাব গুলি অত্যাধুনিক। বিভিন্ন উন্নত যন্ত্রের দ্বারা ক্লাস করানো হয়। নতুন বিষয়ে সাম্মানিক চালু করার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন কেবলমাত্র পড়াশুনায় নয় সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজের ছাত্ররা খেলাধুলাতেও যথেষ্ট এগিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলার গুলির খেলাতে তাদের ফলাফল অত্যন্ত চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও কলেজে বাড়ানো হয়েছে ক্লাসরুমের সংখ্যা, কিছু কিছু রুম শীততাপ নিয়ন্ত্রিত, সুবিশাল লাইব্রেরী, খেলাধূলার জন্য কমনরুমে পর্যাপ্ত পরিমাণ খেলার সরঞ্জাম, গোটা কলেজে পানীয় জলের সুব্যবস্থা, লাইব্রেরীর আমূল সংস্করণ করা হয়েছে। আরো বলেন আমরা গর্বিত বাংলায় আমরা এমন এক মুখ্যমন্ত্রী পেয়েছি যিনি সদাসর্বদা ছাত্রছাত্রীর কথা ভাবেন।

এছাড়াও অমিতাভ জানায় -“কলেজের পরিচালন সমিতি, স্থানীয় সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিচালন সমিতির গুরুত্বপূর্ণ সদস্য আমাদের প্রিয় দাদা দেবাশীষ ব্যানার্জী সদাসর্বদা কলেজের উন্নয়নের কথা ভাবেন, তাঁদের জন্য এতকিছু সম্ভব হয়েছে।”

এছাড়াও বলেন- “ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি পড়াশুনাতেও দক্ষ আমাদের কলেজের ছাত্ররা।  আমাদের ল’কলেজের অন্যতম উদাহরণ হল এই কলেজেরই প্রাক্তন ছাত্র শিবাশিষ ব্যানার্জী, যে ছাত্ররাজনীতির পাশাপাশি লন্ডনের কিং ‘স কলেজ থেকে এল.এল.এম করেছে, তাঁকে নিয়ে আমরা গর্বিত।”

এককথায় বলা যায় আগের থেকে অনেক ধাপ এগিয়ে সুরেন্দ্রনাথ আইন কলেজের পরিকাঠামো, পড়াশুনা, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিটি বিষয়ই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিশেষ নজর দিয়ে দেখেন, সমস্যা হলে দ্রুত সমাধানের চেষ্টাও করেন। এবং কলেজ কর্তৃপক্ষকে সবসময় তাদের সাধ্যমতো সাহায্য করে ছাত্রসংসদ। সুতরাং একথা বলাই যায় কলেজে কলেজে শিক্ষাক্ষেত্রে যে উন্নয়নের কথা সরকার বারবার বলে চলেছে তার ছাপ এই কলেজে সুস্পষ্ট।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*